সাতকানিয়ায় ছদাহা আ. লীগ সভাপতিকে বহিষ্কার না করলে গণপদত্যাগের হুমকি

সংবাদ সম্মেলনে নৌকার পরাজিত প্রার্থী মোসাদ

সাতকানিয়া প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ at ৬:৩৭ অপরাহ্ণ

সাতকানিয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় ছদাহা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবুর রহমানকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী (পরাজিত) মো. মোসাদ হোসাইন চৌধুরী।

অন্যথায় ছদাহা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ গণ পদত্যাগ করবে বলে জানান।

আজ বৃহস্পতিবার(১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সাতকানিয়ার বায়তুল ইজ্জত এলাকায় একটি রেস্তোরাঁয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ছদাহা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলম দুলু, সিনিয়র সহ-সভাপতি তাজুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, নেচার আহমদ, প্রচার সম্পাদক আহসানুল্লাহ রাশেদ, আওয়ামী লীগ নেতা আবু তাহের, নুরুল হক, সৈয়দ আহমদ, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আবদুর রহিম জয়, সাধারন সম্পাদক মনজুর আলম, ইউনিয়ন তাঁতী লীগের সভাপতি জামাল হোসেন, সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ হারুন, ছদাহা ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি আহমেদ কবির ও সাধারন সম্পাদক আবু তাহের।

পরপর দুইবারের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মোসাদ হোসাইন চৌধুরী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মোরশেদুর রহমানের কাছে মাত্র ২ শত ৯২ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন।

সংবাদ সম্মেলনে মোসাদ হোসাইন চৌধুরী বলেন, “ছদাহা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবুর রহমানসহ দলের কিছু নেতা নৌকার বিরুদ্ধে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছেন। এ কারণে আমি পরাজিত হয়েছি। কার ইন্ধনে তিনি নৌকার বিরুদ্ধে কাজ করেছেন তা খতিয়ে দেখার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।”

মোসাদ হোসাইন চৌধুরী আরো বলেন, “সভাপতি মুজিবুর রহমানের নিজের কেন্দ্রে নৌকা সবচেয়ে কম ভোট পেয়েছে। অথচ এ কেন্দ্রে গতবারের নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে আমি প্রথম হয়েছিলাম। মুজিবের ষড়যন্ত্রের কারণে ছদাহায় নৌকা পরাজিত হয়েছে। মুজিব নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ছোট ঢেমশা ফোরকানিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্র থেকে নৌকার এজেন্টদেরকে মারধর করে বের করে দিয়েছে। মূলত আওয়ামী লীগের সভাপতির কাছেই নৌকা হেরে গেছে। ফলে নৌকার শত্রু ও আওয়ামী লীগের শত্রু মুজিবুর রহমানকে বহিষ্কারের দাবি জানাচ্ছি। তাকে দল থেকে বহিষ্কার না করলে আমরা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা গণহারে পদত্যাগ করব।”

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ছদাহা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবুর রহমাান বলেন, “আমি ভোটকেন্দ্র থেকে কোনো এজেন্ট বের করে দিইনি। জামায়াত-শিবিরের ওপর নির্ভরশীলতার কারণে মোসাদ নির্বাচনে হেরেছেন।”

পূর্ববর্তী নিবন্ধটেকনাফে ক্যাম্প থেকে ৩ রোহিঙ্গা আটক
পরবর্তী নিবন্ধএইচএসসির ফল প্রকাশ হবে ১৩ ফেব্রুয়ারি