সাতকানিয়ায় শিশুসহ দুই জন গুলিবিদ্ধের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের কাছ থেকে ২টি অস্ত্র ও ৪ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। গত বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার এওচিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম গাটিয়াডেঙ্গার জনৈক শহীদুল ইসলামের ওষুধের দোকানের পেছনে বাগান থেকে এসব অস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
এদিকে, গ্রেপ্তার আসামি আবদুর রহিম প্রকাশ ডালিম ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। গত রবিবার দুপুরে সাতকানিয়ার এওচিয়ার গাটিয়াডেঙ্গা এলাকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে পাঁচ বছরের শিশু রাফি রাইয়ান ও সাংবাদিক এসএম কামরুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গোয়েন্দা পুলিশ গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি এলাকা থেকে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে।
চট্টগ্রাম জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ নুর আহমদ জানান, সাতকানিয়ার এওচিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের পশ্চিম গাটিয়াডেঙ্গার বাসিন্দা সাংবাদিক এসএম কামরুল ইসলাম এবং একই এলাকার আরিফুল ইসলাম মানিকের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকায় আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। গত রবিবার দুপুরে সাংবাদিক এসএম কামরুল ইসলাম পশ্চিম গাটিয়াডেঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে শামসুল ইসলামের পুতুনের দোকানে বসে গল্প করছিল। তখন একই এলাকার আবদুর রহিমের পুত্র শিশু রাফি রাইয়ান চকলেট নেয়ার জন্য দাদার দোকানে আসে। এসময় সাংবাদিক কামরুলকে লক্ষ্য করে সন্ত্রাসীরা গুলি ছোড়ে। এতে শিশু রাফি ও কামরুল গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়। তারা বর্তমানে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় সোমবার রাতে সাংবাদিক এসএম কামরুল ইসলাম বাদি হয়ে সাতকানিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে আরিফুল ইসলাম মানিক (৩৫), আবদুর রহিম প্রকাশ ডালিম (৩৫) ও মোঃ মিজানুর রহমান (৩০) কে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। ওসি নুর আহমদ আরো জানান, গ্রেপ্তারকৃত আরিফুল ইসলাম মানিক ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।












