বসতঘরে চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে গণপিটুনিতে এক চোর নিহত হয়েছে। গত শুক্রবার দিবাগত রাতে সাতকানিয়া উপজেলার কাঞ্চনা ইউনিয়নের মধ্যম কাঞ্চনা ঘোষঘাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত মো. ইসহাক (৪০) চন্দনাইশ উপজেলার ধোপাছড়ি ইউনিয়নের পূর্ব ধোপাছড়ির বদিউর রহমানের ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, গত শুক্রবার রাতে মধ্যম কাঞ্চনা ঘোষঘাটা এলাকার প্রদীপ দত্তের ঘরের তালা ভেঙে কয়েকজন চোর তার ঘরে ঢুকে। পরে প্রদীপ দত্তের পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি বুঝতে পারলে চোরের দলের কয়েকজন সদস্য পালিয়ে যেতে পারলেও ইসহাককে আটক করা হয়। খবর পেয়ে এলাকার লোকজন এসে আটক চোরকে রাস্তার পাশে বৈদ্যুতিক খুঁটির সাথে বেঁধে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে সাতকানিয়া থানা পুলিশ গণপিটুনির শিকার ইসহাককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. ফয়সাল আহমেদ জানান, গণপিটুনির শিকার হওয়া ইসহাককে হাসপাতালে আনার আগেই মারা গেছেন। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
গৃহকর্র্তা প্রদীপ দত্ত জানান, আমি রাত ১২টার দিকে ঘরের দরজার বাইরে তালা লাগিয়ে একটি অনুষ্ঠানে যাই। এ সময় আমার পরিবারের সদস্যরা ঘুম ছিল। আড়াইটার দিকে ফিরে এসে দেখি ঘরের দরজা খোলা। তখন আমি পরিবারের সদস্যদের ডাকাডাকি শুরু করি। আমার উপস্থিতি এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ঘুম ভাঙার বিষয়টি বুঝতে পেরে চোররা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় তারা আমাকে এবং আমার ছেলে শিমুলকে আঘাত করে। কয়েকজন চোর পালিয়ে যেতে পারলেও আমরা একজনকে আটকে রাখি। এরপর খবর পেয়ে এলাকার উত্তেজিত জনতা চোরকে গণপিটুনি দেয়।
চোরের আঘাতে আহত শিমুল দত্ত জানান, গভীর রতে বাবার ডাক শুনে ঘুম ভাঙে। আর ঘুম ভাঙার পর কিছু বুঝে উঠার আগেই চোররা আমাকে এবং বাবাকে আঘাত করে। কয়েকজন চোর পালিয়ে গেলেও একজনকে আমরা আটক করে রাখি। পরে ঘরের অন্যান্য সদস্যদের সাথে কথা বলে বুঝতে পারলাম চোররা ঘর থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে।
সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ইয়াসির আরাফাত জানান, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে। ঘরে চুরি এবং গণপিটুনিতে চোর নিহতের ঘটনায় পৃথক দুইটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।