সাতকানিয়ায় নলুয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. মহিউদ্দিনের উপর হামলার ঘটনায় ইউপি সদস্যসহ দুই জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আসামিরা হলো ইউপি সদস্য মো. মোরশেদ আলম (৩০) ও রেজাউল করিম রিয়াজ (১৯)। গত সোমবার রাতে নলুয়া ইউনিয়নের পূর্ব গাটিয়াডেঙ্গা এলাকায় মহিউদ্দিনের উপর হামলা চালানো হয় এবং ওইদিন রাতেই আসামিদের গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাদের কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করেন। হামলার শিকার স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. মহিউদ্দিনের ছোট ভাই ও মামলার বাদী আজিম উদ্দিন জানান, ঘটনার দিন রাত সাড়ে দশটার দিকে আমার বড় ভাই মহিউদ্দিন হাঙ্গরমুখ বাজারের উত্তর পাশের নজির মাঝির দোকান হতে বাড়ি ফিরছিল।
টাইগার ফারুকের বাড়ির সামনে পৌঁছার পর পূর্বে থেকে ওৎপেতে থাকা সন্ত্রাসীরা আমার ভাইকে আটক করে ধারালো অস্ত্র, হকিস্টিক ও লাঠিসোঁটা দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। এসময় আমার ভাইয়ের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে ভাই মহিউদ্দিনকে উদ্ধার করে কেরানীহাটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
আজিম উদ্দিন আরো জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জন্য মিন্টু বাহিনীর সন্ত্রাসীরা আমার ভাইয়ের উপর হামলা চালিয়েছে। এছাড়াও আমার ভাই বিগত ইউপি নির্বাচনে সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় ক্ষিপ্ত হয়ে তারা ইতিপূর্বে একাধিকবার হামলা চালিয়েছে।
ঢেমশা তদন্ত কেন্দ্রের এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাজী মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, ঘটনার দিন রাতে মহিউদ্দিন নজির মাঝির দোকান এলাকা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় তার উপর হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় আহত মহিউদ্দিনের ভাই বাদী হয়ে সাতকানিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ পুলিশ ইউপি সদস্য মো. মোরশেদ আলম ও রেজাউল করিম রিয়াজ নামের দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত দুই আসামিকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করেন। তিনি আরো জানান, আসামিদেরকে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছে। তবে রিমান্ড চেয়ে করা আবেদনের এখনো শুনানি হয়নি।