সাতকানিয়ায় আ. লীগের প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র নির্বাচিত

বিএনপি প্রার্থী সরে দাঁড়ানোয় নেতাকর্মীদের ক্ষোভ

সাতকানিয়া প্রতিনিধি | বুধবার , ২৭ জানুয়ারি, ২০২১ at ৬:২৭ পূর্বাহ্ণ

সাতকানিয়া পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ জোবায়ের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার বিএনপির প্রার্থী অ্যাডভোকেট এজেডএম মঈনুল হক চৌধুরী খোকন মনোনয়ন প্রত্যাহার করায় তিনি মেয়র নির্বাচিত হন। এতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা খুশি হলেও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, সাতকানিয়া পৌরসভা নির্বাচনে গতকাল ছিল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। এতে মেয়র পদে বিএনপি প্রার্থী মঈনুল হক চৌধুরী ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৯ নং ওয়ার্ডের জাহেদুল ইসলাম মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। এখন সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪৫ জন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৮ জন প্রার্থী রয়েছেন। চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার মো. আতাউর রহমান বলেন, মেয়র পদে ২ জন প্রার্থী ছিলেন। তাদের মধ্যে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এজেডএম মঈনুল হক চৌধুরী খোকন গতকাল মনোনয়ন প্রত্যাহার করায় বেসরকারিভাবে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ জোবায়ের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে নির্বাচন হবে। বুধবার কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলরদের প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত মেয়র মোহাম্মদ জোবায়ের বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের দেশব্যাপী চলমান উন্নয়ন কর্মযজ্ঞের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য বিএনপি প্রার্থী মঈনুল হক চৌধুরীকে ধন্যবাদ জানাই। পৌরবাসীর নিকট আমি দোয়া চাই যেন তাদের ভালোবাসার প্রতিদান দিতে পারি।
বিএনপির প্রার্থী এজেডএম মঈনুল হক চৌধুরী খোকন বলেন, দলের একটি অংশ আমার বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে। মানববন্ধন করে আমাকে এলডিপি ও চোর ডাকছে। এতে আমার মানসম্মানের ক্ষতি হচ্ছে। এজন্য মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছি। এলডিপিতে যোগদান করেছিলেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি একটি অনুষ্ঠানে কর্নেল (অব.) অলি আহমদকে ফুল দিয়েছি। কিন্তু এলডিপিতে যোগদান করিনি।
আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা নিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহারের বিষয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেন, ৫ লাখ নয়, ৫০ লাখ টাকা নিয়েছি। যোগ্যতা আছে বলে তারা আমাকে টাকা দিয়েছে।
দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের বিষয়টি আমি জানি না। যদি মনোনয়ন প্রত্যাহার করে থাকে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদেশে প্রথম টিকা নিচ্ছেন রুনু কস্তা
পরবর্তী নিবন্ধভোটগ্রহণ উপলক্ষে আজ বন্ধ থাকবে ইপিজেড