সাতকানিয়া পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ জোবায়ের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এড. এ. জেড. এম মঈনুল হক চৌধুরী খোকন মনোনয়ন প্রত্যাহার করায় ক্ষমতাশীন দল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা খুশি হলেও ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, সাতকানিয়া পৌরসভা নির্বাচনে আজ মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষদিন ছিল। মেয়র পদে বিএনপি প্রার্থী এড. এ. জেড. এম মঈনুল হক চৌধুরী খোকন ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৯নং ওয়ার্ডের জাহেদুল ইসলাম মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। এখন সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪৫ জন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৮ জন প্রার্থী রয়েছেন।
চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার মো. আতাউর রহমান জানান, সাতকানিয়া পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে ২ জন প্রার্থী ছিলেন। তাদের মধ্যে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এড. এ. জেড. এম মঈনুল হক চৌধুরী খোকন আজ মনোনয়ন প্রত্যাহার করায় বেসরকারিভাবে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ জোবায়ের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আগামীকাল বুধবার কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলরদেরকে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত মেয়র মোহাম্মদ জোবায়ের বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের প্রতীক নৌকা এবং আমার প্রতি পৌরবাসীর অফুরন্ত ভালবাসা দেখে নিশ্চিত পরাজয়ের বিষয়টি বুঝতে পেরে বিএনপি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের দেশব্যাপী চলমান উন্নয়ন কর্মযজ্ঞের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোয় বিএনপি প্রার্থী এড. এ. জেড. এম মঈনুল হক চৌধুরী খোকনকে ধন্যবাদ জানাই। পৌরবাসীর নিকট আমি দোয়া চাই যেন তাদের ভালবাসার প্রতিদান দিতে পারি।”
এদিকে, বিএনপির প্রার্থী এড. এ. জেড. এম মঈনুল হক চৌধুরী খোকন প্রার্থিতা প্রত্যাহারের বিষয়ে বলেন, “দলের একটি অংশ আমার বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে। মানববন্ধন করে আমাকে এলডিপি ও চোর ডাকছে। নানা রকম মিথ্যা কুৎসা রটাচ্ছে। এতে আমার মান-সম্মানের ক্ষতি হচ্ছে। এজন্য আমি মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছি।”
এলডিপিতে যোগদান করেছিলেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমি একটি অনুষ্ঠানে কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রমকে ফুল দিয়েছি কিন্তু এলডিপিতে যোগদান করিনি। তিনি একজন জাতীয় নেতা। বিএনপির অনেক নেতা এখনো অলি আহমদকে পা ছুঁয়ে সালাম করেন। তাকে ফুল দিলে সমস্যা কোথায়?”
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, “মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের বিষয়টি আমি জানি না। এ বিষয়ে আমার সাথে আলাপও করেনি। যদি মনোনয়ন প্রত্যাহার করে থাকে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোজাম্মেল হক জানান, এড. এ. জেড. এম মঈনুল হক চৌধুরী খোকন মনোনয়ন প্রত্যাহারের মধ্য দিয়ে সাতকানিয়ায় বিএনপির কবর রচনা করেছেন। এ ধরনের ব্যবসায়ী এলডিপি নেতাকে যারা মনোনয়নের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন এবং তার পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তিনি।