সাতকানিয়ায় চাচাতো ভাইকে অস্ত্র চালানো শিখানোর সময় মামার বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া অপর এক ব্যবসায়ী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়ার ঘটনায় জড়িত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতের নাম সঞ্জয় চৌধুরী (৩৭)। গ্রেপ্তারের পর তার দেখানো মতে ১টি দো-নলা এলজি ও ৩ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৫ নভেম্বর রাতে সাতকানিয়ার কাঞ্চনা ইউনিয়নের দক্ষিণ কাঞ্চনা জোটপুকুরিয়া সাধন মেম্বারের বাড়ি এলাকায় অমল চৌধুরীর পুত্র সঞ্জয় চৌধুরী একটি অবৈধ অস্ত্র নিয়ে তার এক চাচাতো ভাইকে অস্ত্র চালানো শিখানোর সময় কয়েক ফুট দুরত্বে দাঁড়ানো মামার বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া নলুয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সুপ্রকাশ তালুকদারের পুত্র পঙ্কজ তালুকদার মনু গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন।
পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৮ নভেম্বর রাতে পঙ্কজ তালুকদার মনু মারা যান।
এ ঘটনায় নিহত পঙ্কজ তালুকদার মনুর মা চম্পা তালুকদার বাদি হয়ে সঞ্জয় চৌধুরীকে একমাত্র আসামি করে গত ১০ নভেম্বর সাতকানিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এদিকে, ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিল মামলার একমাত্র আসামী সঞ্জয় চৌধুরী। গতকাল সোমবার রাতে সঞ্জয় এওচিয়ার চুড়ামনি পাক্কার দোকান এলাকায় অবস্থান করছিল। এসময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন ও এসআই সুব্রত দাশের নেতৃত্বে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সঞ্জয় পুরো ঘটনা স্বীকার করেন এবং অবৈধ অস্ত্রটি কোথায় লুকিয়ে রেখেছেন সেই ব্যাপারে তথ্য প্রদান করেন। পরে পুলিশ তাকে সাথে নিয়ে তার দেখানো মতে ১টি দো-নলা বন্দুক ও ৩ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করে।
সাতকানিয়া থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন জানান, আসামি সঞ্জয় অবৈধ অস্ত্রটি নিয়ে তার এক চাচাতো ভাইকে অস্ত্র চালানো শিখানোর সময় পাশে দাঁড়ানো নলুয়ার পঙ্কজ তালুকদার গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ঘটনার পর থেকে সঞ্জয় পলাতক ছিল।
গতকাল সোমবার রাতে চুড়ামনি পাক্কার দোকান এলাকায় এসে তার অবস্থান করার সংবাদ পেয়ে সেখানে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে সাতকানিয়া থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামি সঞ্জয়কে আজ মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করে।
