দক্ষিণ চট্টগ্রামের অন্যতম ও প্রাচীনতম প্রাণপ্রিয় বিদ্যানিকেতন সাতকানিয়া সরকারি কলেজ সবারই যেন পরিচিত মুখ। কয়েক হাজার শিক্ষার্থীর পড়াশোনা এই বিদ্যাপীঠে। দেশের বেশ কয়েকটা জেলা থেকে আগত শিক্ষার্থীদের আনাগোনা এই বিদ্যাপীঠে। অথচ নেই কোনো স্বাস্থ্যসম্মত ক্যান্টিন। যার ফলে ৯৮% শিক্ষার্থী, শিক্ষক–শিক্ষিকা ধাবিত হয় রাস্তার ধারের দোকানে। খোলা চা–পাতা কিংবা ভেজাল চা–পাতার চা, বাসি আলু ভর্তার আলুর চপ, ছোলা, বাসি ভাজি ও আলু ভর্তার সিঙ্গারা, চমুচা, ডাল আর খেসারি মিশ্রিত পিঁয়াজু হয়ে উঠে নিত্যদিনের খাবার। অপরিষ্কার, অপরিচ্ছন্ন রান্নাঘর/ ব্যবহার্য জিনিসপত্র, চড়া দামে খাবার বিক্রি, খাওয়ার দোকানে সিগারেটের ধোঁয়া। আরও আছে কস্টিক সোডা মেশানো দুধ, কেমিক্যাল মিশানো ও অস্বাস্থ্যকর শরবত, অপরিষ্কার পানিতে চায়ের কাপ ধোয়া ইত্যাদি। এর ফলে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছে মাত্রাতিরিক্ত। পেটব্যথা, বদ হজম নৈমিত্তিক ব্যাপার, যা অনেক সময় ভয়ংকর রূপ ধারণ করতে পারে শরীরের জন্য। এতে করে ক্লাসে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে যাচ্ছে নিয়মিত। পড়াশোনার ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের ব্যাপকমাত্রায়। এতে কলেজ কর্তৃপক্ষের নেই কোনো তদারকি। আর কত ছাত্র–ছাত্রী, শিক্ষক–শিক্ষিকা, কর্মচারী অসুস্থ হলে কলেজ প্রশাসনের নজর কাটবে। এ বিষয়ে নজর দেওয়ার বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি কলেজ প্রশাসন বা কর্তৃপক্ষের কাছে।
মুহিবুল হাসান রাফি
প্রাক্তন শিক্ষার্থী
সাতকানিয়া সরকারি কলেজ