চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার কেরানিহাট এলাকায় অস্থায়ী চেকপোস্ট পরিচালনা করে ৭ হাজার পিচ ইয়াবাসহ নুরুল আবছার নামে এক মাদক কারবারিকে আটক করেছে র্যাব-১৫।
রবিবার (১৮ আগস্ট) রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কেরানীহাট মেসার্স নিজাম উদ্দীন এন্ড ব্রাদার্স নামক পেট্রোল পাম্পের সামনে পাকা রাস্তার উপর অস্থায়ী চেকপোস্ট স্থাপন করে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
গ্রেফতারকৃত নুরুল আবছার (৪৬) কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের মাদ্রাসা পাড়া, ফুলছড়ী, এলাকার-মৃত আবুল শ্যামার পুত্র।
গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল’ এন্ড মিডিয়া) মোঃ আবুল কালাম চৌধুরী জানান।
র্যাব-১৫, কক্সবাজার এর আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, কক্সবাজার জেলার চকরিয়া হতে একটি মাইক্রো (ঢাকা মেট্রো-চ, ১৩-৮১১৬) যোগে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে একজন মাদক ব্যবসায়ী ইয়াবা ট্যাবলেট নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে যাচ্ছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১৫, সিপিসি-৩, বান্দরবান ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল কেরানীহাটে অস্থায়ী চেকপোষ্ট স্থাপন করে তল্লাশী অভিযান পরিচালনা করে।
উক্ত স্থানে চেকপোষ্টে তল্লাশী করার একপর্যায়ে থামানোর সংকেত দিলে গাড়ীটি থামা মাত্রই র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে তাৎক্ষনিক মাইক্রোর ড্রাইভার মাইক্রো থেকে নেমে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা কালে র্যাবের আভিযানিক টিম নুরুল আবছার নামে এক মাদক কারবারীকে আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীত উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত ব্যক্তির দেহ তল্লাশী করে তার হেফাজত হতে সর্বমোট ৭ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারী বেশ কিছু দিন ধরে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে ইয়াবার ব্যবসা করে আসছে বলে জানায়। সে দীর্ঘদিন যাবত কক্সবাজারের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকারী দামে ইয়াবা ট্যাবলেট সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় বেশী দামে বিক্রি করতো।উদ্ধারকৃত ইয়াবাসহ ধৃত মাদক কারবারীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া থানায় এজাহার দাখিল করা হয়েছে।
সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান দৈনিক আজাদীকে বলেন, র্যাব-১৫ অভিযান পরিচালনা করে কেরানিহাট এলাকা থেকে নুরুল আবছার নামে এক মাদক কারবারিকে আটক করেছে, তার নামে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা রুজু করার পর আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষ করে পুলিশ স্কটের মাধ্যমে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।