সাতকানিয়ায় রেলক্রসিংয়ের দুই পাশে সড়কের বেহাল দশা

যাত্রী ও সাধারণ পথচারীদের দুর্ভোগ

জাহাঙ্গীর আলম, সাতকানিয়া | রবিবার , ১৬ জুন, ২০২৪ at ১০:০৮ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামকক্সবাজার মহাসড়কের সাতকানিয়ায় রেলক্রসিংয়ের দুই পাশে বেহাল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। সড়কের ১ শত ৮০ মিটার এলাকাজুড়ে পিচ ও পাথরের খোয়া উঠে গিয়ে অনেক আগেই চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। খানাখন্দকে ভরে গেছে রেলক্রসিংয়ের দুই পাশ।

কয়েকটি স্থানে খোয়া সরে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। মহাসড়কের মাঝখানে সৃষ্ট গর্তগুলো এক পসলা বৃষ্টি হলেই কাদা পানিতে ভরে যায়। তখন এসব গর্তে গাড়ির চাকা পড়ার সাথে সাথে পথচারীদের গায়ে কাদা পানি পড়ে।

এলাকাবাসী জানান, সাতকানিয়ার কেরানীহাট থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার উত্তরে চট্টগ্রামকঙবাজার মহাসড়কের উপর দিয়ে দোহাজারীকক্সবাজার রেললাইনের ক্রসিং নির্মাণ করা হয়েছে।

রেললাইনের কাজের সময় ক্রসিং এলাকায় স্লিপার বসানোর অনেক আগে থেকে চট্টগ্রামকক্সবাজার মহাসড়কে খানাখন্দকের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে রেলক্রসিংয়ের দুই পাশে সড়কের পিচ পুরোপুরি উঠে যায়।

দোহাজারীকক্সবাজার রেললাইনের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তমা কনস্ট্রাকশনের সহকারী প্রকল্প ব্যবস্থাপক (ডিপিএম) মোঃ রাশেদুজ্জামান জানান, চট্টগ্রামকক্সবাজার মহাসড়কের সাতকানিয়ায় রেলক্রসিংয়ের দুই পাশে মোট ১ শত ৮০ মিটার এলাকা ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত অংশে পিচ উঠে গেছে, কয়েকটি স্থানে সামান্য কিছু খোয়াও সরে গেছে। এটার কারনে যান চলাচলে কিছু ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। সাধারন পথচারীরাও কিছুটা কষ্ট পাচ্ছে। সড়কটি আগের নিয়মে সংস্কার হলে এতদিনে কাজ শেষ হয়ে যেতো। ক্রসিং এলাকায় চট্টগ্রামকক্সবাজার মহাসড়কের দুই পাশের প্রসস্থতা কিছুটা বাড়বে। সড়কের মাঝখানে ডিভাইডার বসানো হবে। এছাড়া ক্রসিংয়ের দুই পাশে পৃথক গেইট হবে। ডিজাইনটা এখন রেলওয়ের কনসালটেন্টদের নিকট রয়েছে। ডিজাইন অনুমোদন হওয়ার পর আমরা দোহাজারী সড়ক ও জনপথ বিভাগের সাথে বসবো।

দোহাজারী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্ট চাকমা জানান, সড়কের রেলক্রসিংয়ের দুই পাশে ক্ষতিগ্রস্ত অংশটি রেললাইনের ঠিকাদাররা সংস্কার করবে। এ বিষয়ে তাদেরকে ইতিমধ্যে একাধিকবার বলা হয়েছে। কিন্তু কাজটি এখনো করেনি। তারা টাকা দিবে, আমরা কাজ করে দিবো এধরনের কোন কথা আমাদের সাথে হয়নি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধগাজার রাফায় আট ইসরায়েলি সেনা নিহত
পরবর্তী নিবন্ধরাশিয়ার প্রতি চীনের সমর্থন যুদ্ধ জোরদার করছে