সাতকানিয়ায় উপজেলা প্রশাসনের কঠোর অবস্থান, প্রায় প্রতিদিনই ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে জেল-জরিমানা, গাড়ি জব্দসহ নানাবিধ প্রচেষ্টার পরও সাতকানিয়া উপজেলা জুড়ে মাটি খেকোদের অপতৎপরতা থেমে নেই।
দিনের বেলা সুবিধা করতে না পেরে ইটভাটায় মাটি সরবরাহ করার জন্য গভীর রাতকে বেছে নিয়েছে মাটি খেকোরা। তবে খবর পেয়ে গভীর রাতে পৌঁছে গেছে বেরসিক ভ্রাম্যমাণ আদালত, দিয়েছে কারাদণ্ড।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাত আনুমানিক দেড়টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাতকানিয়া উপজেলার সাতকানিয়া সদর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে কৃষি জমির উপরিভাগের মাটি (টপসয়েল) কাটার বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
এ সময় উৎপাদনশীল কৃষি জমির টপসয়েল কাটার সময় হাতেনাতে আটক বাঁশখালী উপজেলার সরল ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড বড়পুকুর পাড়ার মৃত আবুল হোসেনের পুত্র মোহাম্মদ আরফাত (২৬)কে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ এর আওতায় ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিল্টন বিশ্বাস। এসময় সাতকানিয়া থানার পুলিশ সদস্যবৃন্দ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা সার্বিক সহযোগিতা করেন।
সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিল্টন বিশ্বাস দৈনিক আজাদীকে বলেন, প্রতিদিন আমাদের অভিযানও চলমান আছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাত দেড়টায় অভিযান পরিচালনা করে কৃষি জমির উপরিভাগের মাটি (টপসয়েল) কাটার সময় হাতেনাতে আটক ১ ব্যক্তিকে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ এর আওতায় ৭দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। জনস্বার্থে এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।