সাতকানিয়ায় বালু ব্যবসায়ীকে অপহরণ, যৌথবাহিনীর অভিযানে উদ্ধার

সাতকানিয়া প্রতিনিধি | শুক্রবার , ১৩ জুন, ২০২৫ at ৫:৫৭ পূর্বাহ্ণ

সাতকানিয়ায় এক বালু ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা করে একদল দুর্বৃত্ত। তবে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে উপজেলার কাঞ্চনা ইউনিয়নের ফুলতলা স্লুইস গেট এলাকা থেকে ওই বালু ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে। তবে অপহরণকারী দলের কাউকেও গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। অপহৃত বালু ব্যবসায়ীর নাম জহির উদ্দিন মিন্টু। তিনি উপজেলার নলুয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব গাটিয়াডেঙ্গা এলাকার মৃত আবদুল কাদেরের ছেলে। তিনি নলুয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি।

যৌথবাহিনী ও অপহৃত ব্যক্তির পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, জহির উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে ইজারার মাধ্যমে ডলু নদের গাটিয়াডেঙ্গা এলাকায় খনন যন্ত্র বসিয়ে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে আসছিলেন। গত বুধবার রাত নয়টার দিকে অপরিচিত এক ব্যক্তি মোবাইলে বালু কেনার কথা বলে এওচিয়া ইউনিয়নের বইক্যার পাড়া এলাকায় দেখা করতে বলেন জহির উদ্দিনকে। পরে জহির উদ্দিন তাঁর ছোট ভাই সোহেলকে সঙ্গে নিয়ে ওই এলাকায় যান। সেখানে ৭৮ জন অপরিচিত ব্যক্তি সোহেলকে মারধর করে তাড়িয়ে দেয় এবং জহির উদ্দিনকে পশ্চিম দিকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে যৌথবাহিনী কাঞ্চনা ইউনিয়নের ফুলতলা স্লুইস গেট এলাকা থেকে তাঁকে উদ্ধার করে।

অপহৃত জহির উদ্দিনের ছোট ভাই মো. সোহেল বলেন, বালু কেনার কথা বলে বড় ভাই জহির উদ্দিনকে ডাকলে সঙ্গে আমিও যাই। এসময় অপরিচিত লোকজন আমাদের কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে তাঁরা আমাকে মারধর করে তাড়িয়ে দেয় এবং আমার ভাইকে পশ্চিম দিকে নিয়ে যায়।

সাতকানিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সুদীপ্ত রেজা জয়ন্ত জানান, বালু ব্যবসায়ী অপহরণের খবর শোনার পরপর রাত থেকেই সেনাবাহিনী ও পুলিশের সদস্যরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান দেখে অপহরণকারীরা ওই বালু ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে বৃহস্পতিবার ভোট সাড়ে পাঁচটার দিকে অপহৃত বালু ব্যবসায়ী জহির উদ্দিনকে উদ্ধার করা হয়। তাঁকে সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে এসএসসির ফল প্রকাশ
পরবর্তী নিবন্ধবেপরোয়া গতির কার কেড়ে নিল কিশোরের প্রাণ