সাতকানিয়ায় প্রধান শিক্ষককে গাছের খুঁটিতে বেঁধে মারধর, গ্রেপ্তার ২

সাতকানিয়া প্রতিনিধি | সোমবার , ৩০ জুন, ২০২৫ at ৮:৪৯ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক প্রধান শিক্ষককে দোকানের গাছের খুঁটির সাথে বেঁধে এলোপাতাড়ি মারধরের ঘটনায় রবিবার (২৯ জুন) রাতে ওই প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী রোকসানা আক্তার বাদী হয়ে সাতকানিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলার এজাহারনামীয় আব্দুল হান্নান (৪১) ও তার সহোদর আবু বক্কর (৫৫) কে গ্রেপ্তার করেছেন পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা উপজেলার কেঁওচিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত শামসুল ইসলামের ছেলে। এদের মধ্যে হান্নান সাতকানিয়া সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের নাজির হিসেবে কর্মরত। মামলায় গ্রেপ্তারকৃত আবু বক্করের ছেলে মুসলিম উদ্দিন হিরু (২৬), তাদের সহোদর মো. হানিফ (৪৫), মো. সোহাগ (৪৩) ও মোহাম্মদ ইকবাল (৩৮) সহ ৬ জনের নাম উল্লেখ ও ৬-৭ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

এদিকে গুরুতর আহত প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহমান বর্তমানে চমেক হাসপাতালের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন।

চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আব্দুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, আমার মাথায় ও দু’চোখে গুরুতর আঘাত পেয়েছি। চোখে আমি ভালোভাবে দেখছি না। পাশাপাশি মাথায়ও বেশি যন্ত্রণা হচ্ছে। আজ সোমবার সকালে মাথার সিটি স্ক্যান ও চোখের পরীক্ষা করা হয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন, মাথা ও চোখের সমস্যা গুরুতর। ভাগ্য খারাপ হলে চোখ নষ্ট ও ব্রেনেরও সমস্যা হতে পারে। যারা আমাকে আঘাত করে আমার পরিবারের সদস্যদের এতিম করতে চেয়েছে তাদের আমি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। 

এ ঘটনায় অভিযুক্ত মুসলিম উদ্দিন হিরু তার নিজস্ব ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে ভাইরাল হওয়া ভিডিওর ব্যাখা দিয়ে বলেন, শিক্ষক আবদুর রহমানের সর্বমোট ১২ জন ভাই-বোন। তারা আমাদের নিকট কিছু জায়গা বিক্রি করেছিল। তাদের মধ্যে ১০ জন ইতোমধ্যে আমাদের রেজিস্ট্রি দিয়েছে। কিন্তু শিক্ষক আবদুর রহমান ওই জায়গায় তার অংশটুকু বিক্রি করেননি। তবে তিনি তার মূল জায়গা থেকে কয়েকগুণ বেশি দখল করে রেখেছেন। 

তিনি আরও লিখেন, এ বিষয়ে তাকে ১০ থেকে ১৫ বার বলেছি। কিন্তু তিনি বিষয়টি কানে নেননি। ঘটনার দিন তিনি দোকানে এসেছিলেন তখন এ বিষয়ে আমার বাবা তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি আমার বাবাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেন। আমার বাবা আঘাত পাওয়ার পরে তিনি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে আমরা তাকে রশি দিয়ে বেঁধে রাখি। পরে তার সাথে আমাদের হাতাহাতি হয়। তবে, মারধরের বিষয়টি ফেসবুকে উল্লেখ করেনি।

সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  (ওসি) মো. জাহেদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় ওই শিক্ষককের স্ত্রী রোকসানা আক্তার বাদী থানায় একটি মামলা করেছেন। এ ঘটনায় হান্নার ও বক্কর নামে দুই এজাহারনামীয় আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের আজ সোমবার সকালে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। 

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ধরা
পরবর্তী নিবন্ধফটিকছড়ি থানার ওসিকে জামায়ত নেতার হুমকি