নগরের আগ্রাবাদ ও আদালত ভবন এলাকা থেকে ১৭ লাখ ৬৮ হাজার ৮০০ টাকার সমমূল্যের ১৫ হাজার ৫১০টি জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প ও জাল কোর্ট ফি’সহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। ধৃতরা হলো আমিরুল ইসলাম টিটু (৩৫) ও আব্দুল মোনাফ (৩৩)। এর মধ্যে টিটু একটি সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী আর মোনাফ আদালত এলাকায় স্ট্যাম্প বিক্রি করেন।
পুলিশ জানায়, গত সোমবার আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকাস্থ বাশার স্কয়ারের ৬ষ্ঠ তলার দক্ষিণ পাশের ফ্ল্যাটে শাহরিয়ার এন্ড ব্রাদার্স লিমিটেডে সিএন্ডএফ এজেন্ট অফিসের পশ্চিম পাশের প্রথম রুম থেকে টিটুকে এবং আইনজীবী দোয়েল ভবনের নিচতলার ১১ নং দোকান থেকে মোনাফকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে। গতকাল মঙ্গলবার তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে মোনাফ আগেও জাল স্ট্যাম্প বিক্রির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন এবং তার বিরুদ্ধে একটা মামলা বিচারাধীন আছে। নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ–কমিশনার (বন্দর) শামীম কবির সাংবাদিকদের বলেন, বেশকিছু দিন ধরে জাল স্ট্যাম্প বিক্রির তথ্য আসছিল। ৫০০ টাকা সমমূল্যের দুই হাজারটি জাল স্ট্যাম্পসহ টিটুকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যে চট্টগ্রাম আদালতের দোয়েল ভবনের নিচতলার একটি দোকান থেকে মোনাফকে আটকের পর তার কাছ থেকে বিভিন্ন দামের ১৩ হাজার ৫১০টি জাল স্ট্যাম্প ও কোর্ট ফি উদ্ধার করা হয়। তিনি বলেন, সরকারি বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত স্ট্যাম্পগুলো ট্রেজারি বিভাগ থেকে দোকানিরা সংগ্রহ করে গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করেন। জব্দ করা স্ট্যাম্পগুলো সাধারণ প্রেসে তৈরি করা। যে স্ট্যাম্পগুলো ট্রেজারি বিভাগ থেকে কিনতে প্রতি পাতায় দোকানিদের ৩০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়, সেখানে এ স্ট্যাম্পের প্রতি পাতা তারা ৫/৭ হাজার টাকায় ঢাকা থেকে সংগ্রহ করতেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে।
তিনি বলেন, কাস্টমসের বিভিন্ন কাজে মূলত ৫০০ টাকার স্ট্যাম্পগুলো ব্যবহার করা হয়। টিটু সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানের কর্মী হওয়ায় তার সঙ্গে বিভিন্ন সিঅ্যান্ডএফের লোকজনের পরিচয় আছে। মোনাফের কাছ থেকে জাল স্ট্যাম্পগুলো সংগ্রহ করে টিটু বিভিন্ন সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানের লোকজনের কাছে কম দামে বিক্রি করতেন। বাজারের চেয়ে কম দামে স্ট্যাম্প পাওয়ায় মূলত তার কাছ থেকে লোকজন স্ট্যাম্প সংগ্রহ করতেন। পুলিশ জানায়, ঢাকা থেকে কয়েকটি হাত ঘুরে স্ট্যাম্পগুলো চট্টগ্রামে আসে। তিন হাজার টাকায় প্রতিপাতা স্ট্যাম্প প্রথম পক্ষের কাছ থেকে সংগ্রহ করার পর সেগুলো হাত বদল হতে হতে ১০ হাজার টাকায় পৌঁছে।