পার্বত্য রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকে পাহাড় কাটা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি জে. বি. এম. হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ গতকাল এ আদেশ দেয়।
বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকে পাহাড় কাটা বন্ধ করতে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনী ঘোষণা করা হবে না এবং পাহাড় কাটা বন্ধের ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না– তাও জানাতে চেয়ে রুল জারি করেছেন উচ্চ আদালত। সেই সাথে ধ্বংসপ্রাপ্ত পাহাড় পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য নির্দেশ কেন দেয়া হবে না রুলে তাও আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদেরকে জানাতে বলা হয়েছে। খবর বাসসের।
আদালত এক অন্তবর্তীকালীন আদেশে প্রশাসনকে মনিটরিং টিম গঠন করার নির্দেশ দিয়েছেন যাতে কেউ পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ব্যতিত পাহাড় কাটতে না পারে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র এডভোকেট মনজিল মোরসেদ। তাকে সহায়তা করেন আইনজীবী সঞ্জয় মন্ডল ও জাহিদ তালুকদার। রাষ্ট্র পক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল প্রতিকার চাকমা।
এডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, সাজেকে একটি প্রভাবশালী মহল পাহাড় কেটে প্রাকৃতিক ভারসাম্য ও পরিবেশ নষ্ট করছে যা বন্ধ হওয়া আবশ্যক। কিন্তু এ বিষয়ে গণমাধ্যমে রিপোর্ট প্রকাশিত হলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। বিষয়টি জনস্বার্থের সাথে সম্পর্কিত বিধায় আদালতের নির্দেশনা প্রয়োজন বলে তিনি আবেদন জানান। তিনি আরও বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫–এর ধারা ৬খ অনুযায়ী বিনা অনুমতিতে পাহাড় কাটা নিষেধ। কিন্তু, প্রভাবশালী একটি মহল আইন অমান্য করে পাহাড় কেটে প্রকৃতি ধ্বংস করছে।
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকে পাহাড়ের মাটি কাটা সম্পর্কে গত ২৯ মার্চ গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে জনস্বার্থে পরিবেশবাদী ও মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) গত ১ এপ্রিল একটি রিট পিটিশন দায়ের করে। এইচআরপিবি এর পক্ষে রিট পিটিশনার হলেন এডভোকেট ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী ও এডভোকেট রিপন বাড়ৈ। রিটে পরিবেশ সচিব, ডিজি পরিবেশ, পরিচালক চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তর, ডিসি চট্টগ্রামসহ মোট নয়জনকে রেসপনডেন্ট করা হয়।