সাজা ভোগের পরও দেশের বিভিন্ন কারাগারে ১৫৭ জন বিদেশি বন্দি মুক্তি ও প্রত্যাবাসনের অপেক্ষায় রয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৫০ জন ভারতের, পাঁচজন মিয়ানমারের এবং একজন করে পাকিস্তান ও নেপালের নাগরিক রয়েছেন। বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাই কোর্ট বেঞ্চ থেকে গত ১৫ জানুয়ারির এক আদেশ পাওয়ার পর কারা অধিদপ্তর এই প্রতিবেদন পাঠাল। খবর বিডিনিউজের।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত জানান, কারা অধিদপ্তর থেকে হাই কোর্টে এ প্রতিবেদন পাঠানো হয়। আগামী ১০ মার্চ পরবর্তী শুনানির দিন প্রতিবেদনটি হলফনামা করে দাখিল করবে রাষ্ট্রপক্ষ। প্রতিবেদনের বরাতে রাষ্ট্রপক্ষের এই আইনজীবী বলেন, সাজা খাটা হলেও অন্য দেশের নাগরিক হওয়ায় সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করে একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে এসব ব্যক্তিদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন করতে হয়। সেই প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের মুক্তি দেওয়াও সম্ভব নয়।
কারাবন্দি এই বিদেশি নাগরিকদের সাধারণত অনুপ্রবেশের দায়ে ‘দি কন্ট্রোল অব এন্ট্রি অ্যাক্ট, ১৯৫২’, ‘পাসপোর্ট আইন, ১৯৫২’ এবং ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন’ এর মামলায় সাজা দেওয়া হয়।সাজা ভোগ করা বিদেশি বন্দিদের মুক্তির বিষয়ে গত ১১ জানুয়ারি হাই কোর্টে একটি রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বিভূতি তরফদার। ১৫ জানুয়ারি ওই আবেদনের ওপর শুনানি হয়।