বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া চ্যানেলের ৫ কি.মি. গভীর সমুদ্রে এক ফিশিং বোটের ধাক্কায় আরেকটি ফিশিং বোট তলিয়ে গেছে। এতে ৩৪ জন মাঝিমাল্লা ছিল। এর মধ্যে ৩০ জন উদ্ধার হয়েছে। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় ৩ জেলে বাঁশখালীতে ফিরে এসেছেন। অপর ৪ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
সাগর থেকে ফিরে আসা জেলেও বোট মালিক সূত্রে জানা যায়, গতকাল রোববার সকাল ৮টার দিকে বাঁশখালীর চাম্বল বাংলা বাজার এলাকার মো. ছগীরের মালিকানাধীন এফবি মায়ের দোয়া ফিশিং বোটটি ৩৪ জন জেলে মাঝিমাল্লা নিয়ে বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া চ্যানেলের ৫ কি.মি. গভীর সমুদ্রে জাল পাতানোর সময় অপর একটি শক্তিশালী (কর্ডজাল) পাতানো ফিশিং বোট এসে ধাক্কা দিলে এফবি মায়ের দোয়া ফিশিং বোটটি ৩৪ জন জেলে মাঝিমাল্লা নিয়ে তলিয়ে যায়। জেলেদের বেশ কয়জন এসময় সাঁতার কেটে চারপাশে থাকা অন্য বোটে ওঠার চেষ্টা করলেও বোটের ইঞ্জিন রুমে থাকা ৪/৫ জন জেলেসহ বোটটি ডুবে যায়। বেলা ১১ টার দিকে এ খবর পাওয়ার পর মালিক মো. ছগীর আরো কয়েকটি বোট ও জেলে নিয়ে বঙ্গোপসাগরে উদ্ধারে গেলেও সন্ধ্যা ৭টার দিকে নুরনবী (৪৫), দেলোয়ার (৩২) ও মহিউদ্দিন (৩৪) কে নিয়ে একটি বোট কূলে ফিরে আসে। তখন সাগর পাড়ে জেলে পরিবারের সদস্যরা ভিড় জমায়। ফিরে আসা তিন জেলে জানান, সকাল ৮টার দিকে একটি শক্তিশালী কর্ডজাল ফিশিং বোটের ধাক্কায় তাদের বোটটি তলিয়ে যায়। সাঁতার কেটে অন্যদের তারা অপরাপর বোটে ওঠার চেষ্টা করতে দেখেছেন। তবে ইঞ্জিন রুমে থাকা ৪/৫ জন বের হতে পারেননি বলেও জানান তারা। এ ব্যাপারে পশ্চিম চাম্বল বোট মালিক সমিতির সভাপতি হেফাজাতুল ইসলাম বলেন, বোট ডুবির খবর পেয়ে আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছি। সাগরে বোট পাঠিয়ে সন্ধান করার ব্যবস্থা করেছি।
এ ব্যাপারে বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, তিনজন জেলে কূলে ফিরে এসেছেন। চারজন নিখোঁজ রয়েছেন। বাকিরা অপরাপর বোটে উঠেছেন তবে এখনো ফিরে আসেননি। নিখোঁজদের সন্ধানে সাগরে অভিযান চলছে। বাঁশখালী থেকে সাগরের ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে প্রায় ৭ ঘণ্টা সময় লাগে বলে তিনি জানান।