বঙ্গোপসাগরে উত্তাল ঢেউয়ের কবলে পড়ে কুতুবদিয়া ও মহেশখালীর লবণবাহী দুটি ট্রলার দুর্ঘটনায় ৪ জন নিখোঁজ হয়েছেন। ৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। গত বুধবার হাতিয়ার দক্ষিণে মেঘনা উপকূলের কাছে ও মহেশখালীর ভাঙ্গার মুখ খালে পৃথক দুর্ঘটনায় পড়ে ট্রলার দুটি।
জানা যায়, কুতুবদিয়া থেকে লবণবাহী একটি ট্রলার খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। গত বুধবার ট্রলারটি বঙ্গোপসাগরে হাতিয়ার দক্ষিণে মেঘনা উপকূলের ঠেঙ্গারচর লাল বয়া এলাকায় ডুবে যায়। এতে ট্রলারটির ৮ মাঝিমাল্লা সাগরে পড়ে যান। গতকাল শুক্রবার সকালে ভাসমান অবস্থায় খুলনা এলাকার সমুদ্র থেকে অন্যান্য ট্রলার পাঁচ মাঝিমাল্লাকে জীবিত উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। উদ্ধার হওয়া মাঝি–মাল্লারা জানান, বুধবার সকাল ১১টার দিকে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তাদের লবণবোঝাই ট্রলারটি ডুবে যায়। প্রায় ৪০ ঘণ্টা সাগরে ভেসে থাকার পর শুক্রবার ভোরে তারা নোয়াখালীর চেয়ারম্যান ঘাট এলাকায় স্থানীয়দের দ্বারা উদ্ধার হন। বাকি তিনজনের খোঁজ পাওয়া যায়নি।
এদিকে গত বুধবার বিকালে মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক নতুন খালে ধলঘাট পাড়ার বশির আহমদ কোম্পানির ট্রলার খাল থেকে বঙ্গোপসাগরে যাত্রা করার সময় ট্রলারটি প্রচন্ড স্রোতের কবলে পড়ে নিয়ন্ত্রণ হারায়। এ সময় ট্রলারের মাঝি সেকাফ উদ্দিন সাগরে পড়ে নিখোঁজ হন। তিনি হোয়ানক ইউনিয়নের মোহরাকাটা গ্রামের নুরুল হোসেন মাঝির ছেলে। গত দুই দিন খোঁজাখুঁজি করার পরও নিখোঁজ সেকাফ উদ্দিন মাঝির লাশ পাওয়া যায়নি।