সাগরে লঘুচাপ, বন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত

| রবিবার , ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ at ৭:১৭ পূর্বাহ্ণ

পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর ও এর সংলগ্ন উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় লঘুচাপ তৈরি হওয়ায় দেশের চার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

গতকাল শনিবার আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিকের সই করা সতর্ক বার্তায় আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, লঘুচাপটি উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপ আকারে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও ঘনীভূত হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর, উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখানোর পাশাপাশি উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে ওই বার্তায়। খবর বিডিনিউজের।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি বৃষ্টি হতে পারে।

গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৯৬ মিলিমিটার বৃষ্টি ঝরেছে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে। এ ছাড়া ফেনীতে ৩৬, বান্দরবানে ৩২ ও কঙবাজারের কুতুববদিয়ায় ২৩ মিলিমিটারসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় কমবেশি বৃষ্টি হয়েছে।

সাধারণত ২৪ ঘণ্টায় ১ থেকে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে হালকা, ১১ থেকে ২২ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে মাঝারি, ২৩ থেকে ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে মাঝারি ধরনের ভারি, ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে ভারি এবং ৮৮ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি রেকর্ড হলে তাকে বলা হয়ে থাকে অতিভারি বৃষ্টিপাত।

গতকাল শনিবার সন্ধ্যার বুলেটিনে বলা হয়েছে, এ দিন যশোর, চুয়াডাঙ্গা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর ও রাজশাহী জেলাসহ রংপুর ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশের দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।

শনিবার দেশের সর্বোচ্চ ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়ায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সিলেট, রংপুর ও কুড়িগ্রামের রাজারহাটে। এ দিন ঢাকার তাপমাত্রা উঠেছিল ৩৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

সাধারণত বাতাসে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম হলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ ধরা হয়। ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রির কম তাপমাত্রাকে বলা হয় মাঝারি এবং ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রির কম তাপমাত্রাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়। আর তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির ওপরে উঠলে তাকে বলা হয় অতিতীব্র তাপপ্রবাহ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরক্তনালীতে পাঠানোর মতো অতিক্ষুদ্র রোবট তৈরির দাবি
পরবর্তী নিবন্ধজনগণের বিজয়কে ধারণ করে রাখার উদ্দেশ্যেই হবে জাদুঘর