উত্তর–পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন এলাকায় লঘুচাপ তৈরি হওয়ায় চার সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, লঘুচাপটি গতকাল মঙ্গলবার তৈরি হয়। এটি আজ–কালের মধ্যে আরো ঘনীভূত হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর পতেঙ্গা অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম আজাদীকে বলেন, মঙ্গলবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ৪৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এছাড়া রাত ৯টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ২৬ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এছাড়া রাঙামাটিতে ৮৫, চাঁদপুর ৬১, ফরিদপুর ৫৩, বান্দরবানে ৫২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
তিনি বলেন, সক্রিয় সঞ্চালনশীল মেঘমালার কারণে আজ বুধবার সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলার পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে। লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তবে সুস্পষ্ট লঘুচাপ হওয়ার পর বলা যাবে গভীর নিম্নচাপ হবে কিনা।
আবহাওয়া বার্তায় বলা হয়েছে, সাধারণত ২৪ ঘণ্টায় ১ থেকে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে হালকা, ১১ থেকে ২২ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে মাঝারি, ২৩ থেকে ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে মাঝারি ধরনের ভারী, ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে ভারী এবং ৮৮ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি রেকর্ড হলে তাকে বলা হয় অতি ভারী বৃষ্টিপাত।