বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে সাগর উত্তাল হয়ে ওঠায় মাছধরা ট্রলারগুলো ঘাটে ফিরতে শুরু করেছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কক্সবাজারের প্রায় ৭০ শতাংশ মাছ ধরার ট্রলারই ঘাটে ফিরেছে বলে জানিয়েছে ট্রলার মালিক সমিতি। বাকি ট্রলারগুলোও রোববার সকালের মধ্যে ঘাটে ফিরবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আবহাওয়া বিভাগ গতকাল সকাল ৯টার বুলেটিনে জানিয়েছে, মধ্য উত্তর–পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপ আকারে উত্তর–পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। আর এর ফলে এই এলাকায় গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালা তৈরি অব্যাহত রয়েছে এবং ওই এলাকার উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। এ আশংকায় কঙবাজার, চট্টগ্রাম, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে এবং মাছধরা ট্রলারসমূহকে উপকূলের কাছাকাছি সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
সকালে কঙবাজার সৈকতে গিয়ে দেখা যায়, সাগর উত্তাল রয়েছে। স্বাভাবিকের চেয়ে বড় বড় ঢেউ সৈকতে আছড়ে পড়ছে। মাঝেমধ্যে বয়ে যাচ্ছে দমকা হাওয়া। স্থানীয় জেলেরা জানান, শনিবার সকাল থেকেই সাগর উত্তাল হয়ে ওঠেছে। এর ফলে সাগরে জাল ফেলা যাচ্ছে না।
জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মাস্টার মোস্তাক আহমদ জানান, সাগর উত্তাল হয়ে ওঠায় বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরারত জেলেরা মাছ না ধরে ঘাটে ফিরে আসছে। শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কঙবাজারের প্রায় ৭০ শতাংশ ট্রলারই ঘাটে ফিরেছে। বাকি ট্রলারগুলোও রোববার সকালের মধ্যে ফিরবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি জানান, জুলাই মাসের ২৩ তারিখ ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হলেও সাগর উত্তাল থাকায় ওই মাসে সাগরে মাছ ধরতে পারেনি জেলেরা। এরপর আগস্ট মাসজুড়ে মোটামুটি নিয়মিত সাগরে আসা–যাওয়া সম্ভব হলেও ওই মাসের শেষদিকে আবারও সাগর উত্তাল হয়ে ওঠে। ফলে মাছ না ধরেই ফিরে আসতে হয় জেলেদের। এর পক্ষকালের বেশি সময় পর গত ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে সাগরের আবহাওয়া স্বাভাবিক হয়ে এলে আবারও জেলেরা মাছ ধরা জন্য সাগরে যেতে শুরু করে। কিন্তু এর ২–৩ দিন পর আবারও সাগর উত্তাল হয়ে ওঠলে ফের কয়েকদিনের জন্য মাছ ধরা বন্ধ থাকে। এরপর গত ২৪/২৫ তারিখ থেকে জেলেরা মাছ ধরার জন্য আবারও সাগরে যেতে শুরু করলেও শনিবার সকাল থেকে সাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে।