বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে জলদস্যুর কবলে পড়েছে আনোয়ারা ও বাঁশখালী উপজেলার ৬টি মাছ ধরার ট্রলার। গতকাল বুধবার সকালে কক্সবাজার উপকূলের সোনার চর নামক স্থানে জলদস্যুরা হামলা চালিয়ে এসব ট্রলারে ডাকাতি সংঘটিত করে। এতে জলদস্যুর আক্রমণে আবদুর রজ্জাক (৪৫) নামের এক মাঝি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও ৩৫ জন। এ সময় জলদস্যুরা ৩৫/৪০ লাখ টাকার মাছ, জাল ও মালামাল লুট করে বলে জানায় ক্ষতিগ্রস্তরা।
ক্ষতিগ্রস্ত মোহছেন আউলিয়া ট্রলারের মালিক মো. ইদ্রীস জানায়, গত কয়েক দিন আগে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার জন্য আমার ট্রলারসহ বিভিন্ন ট্রলার সাগরে মাছ ধরতে যায়। গতকাল সকালে জানতে পারি কক্সবাজারের উপকূলে জলদস্যুরা আমার ১টি, স্থানীয় গিয়াস উদ্দীন, এয়াছিন, মো. আলী, আবদু রজ্জাক মাঝির মালিকানাধীন ট্রলারসহ বাঁশখালীর একটি ট্রলার ডাকাতি হয়। এ ঘটনা জানার পর আমরা কোষ্ট গার্ড ও নৌ পুলিশকে অবহিত করি। এ নিয়ে আমরা মাঝি মাল্লাদের নিরাপত্তা নিয়ে আতংকে রয়েছি।
ট্রলার মালিকেরা আরও জানান, গত শনিবার আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের পূর্ব গহিরা শক্সখ নদীর ফকিরহাট ঘাট থেকে ২০ থেকে ২৫ টি মাছ ধরার ট্রলার সাগরে যায়। প্রতিটি ট্রলারে প্রায় ১২ জন করে মাঝি–মাল্লা ছিল। মঙ্গলবার দুপুরে ৩টি ট্রলারে করে ২০ থেকে ২৫ জন জলদস্যু অস্ত্র–সস্ত্র নিয়ে তাদের ৬টি ট্রলার ঘিরে ফেলে। এসময় জলদস্যুরা গুলি করতে করতে তাদের ট্রলারে উঠে পড়ে। একপর্যায়ে জলদস্যুরা মাঝি ও জেলেদের মারধর করে ট্রলারে থাকা মালামাল, টাকা–পয়সা ও মোবাইল লুটপাট করে নিয়ে যায়।
আহতরা হলেন, আল্লাহর দান ট্রলারের মাঝি আবদুস শুক্কুর (৩৫), জেলে মহিউদ্দিন (৩০), আলমগীর (৩২), ফোরকান (৩৪), আলমগীর (৪২), আলমান (২২), মিনহাজ (২০), ইউনুস (৩০), আহমদ ছাফা (৩৫), ইদ্রীস (৩০) ও আবদুস সবুর (৪০) আহত অন্যান্যদের নাম পাওয়া যায়নি।
আনোয়ারা বার আউলিয়া নৌ–পুলিশ ফাঁড়ির ইনর্চাজ টিটু দত্ত সাংবাদিকদের জানায়, সাগরে মাছ ধরার ট্রলারে ডাকাতি ও জলদস্যুদের হামলার বিষয়ে ট্রলার মালিকরা অবহিত করেছেন। ঘটনাস্থল গভীর সমুদ্রে হওয়ায় আমরা নৌ–বাহিনী ও কোস্টগার্ডকে অবহিত করেছি।