সাগরপাড়ে ১০ তলা অফিস ভবন পেল কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ

আজ ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

কঙবাজার প্রতিনিধি | বুধবার , ১৮ মে, ২০২২ at ৭:৩৯ পূর্বাহ্ণ

প্রতিষ্ঠার ছয় বছরের মাথায় ১০ তলা বিশিষ্ট সুসজ্জিত অফিস ভবন পেল কঙবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক)। শহরের সমুদ্র তীরবর্তী সার্কিট হাউস রোডে প্রায় ১১০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় কউকের অফিস ভবনটি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বুধবার ভার্চুয়ালি উপস্থিত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ভবনটি উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছেন কউক চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমেদ।

২০১৬ সালের ৬ জুলাই জাতীয় সংসদে কঙবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিল২০১৫ পাশ হয়। ওই বছরের ১১ আগস্ট কঙবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রথম চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান লে. কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমদ। পরে কমিটির অন্য সদস্যদের নিয়োগ দেয়া হয়। একই বছর শহরের সার্কিট হাউস রোডে ভাড়া ভবনে যাত্রা শুরু করে কঙবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। এরপর ৫ বছরের বেশি ভাড়া ভবনে কার্যক্রম চালানোর পর অবশেষে নিজস্ব অফিস ভবন পেল সংস্থাটি।

কউক চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমদ জানান, কঙবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নিজস্ব অফিস ভবনের জন্য ২০১৭ সালের ২৭ মার্চ গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ভূমি বরাদ্দ কমিটি এক দশমিক ২১ একর জমি বরাদ্দ দেয়। একই বছর কউকের বহুতল অফিস ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। ভবনটি নির্মাণের জন্য ১১২ কোটি ৩৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। ২০১৮ সালের ১৫ জুলাই ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০২০ সালে ডিসেম্বরে ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে সময় বর্ধনের পাশাপাশি আরো ২ কোটি টাকা বরাদ্দ বাড়ানো হয়। তবে বরাদ্দ ১১৪ কোটি ৩৭ লাখ থেকে ৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা সাশ্রয় হয়েছে যা সরকারের কোষাগারে ফেরত দেয়া হয়েছে। সরকারের গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে গণপূর্ত ও স্থাপত্য অধিদপ্তর এ ভবন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে।

তিনি জানান, সুনসান এ নতুন ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে আধুনিক সুযোগসুবিধার পাশাপাশি পরিবেশ সম্মতভাবে। ভবনে মুক্ত বাতাস চলাচল নিশ্চিত করতে ভেন্টিলেটরসহ ক্রস ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। রয়েছে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণাগারও। আরো আছে স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (এসটিপি), সৌর বিদ্যুৎ প্যানেল ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বৈদ্যুতিক ফিটিংস এবং যন্ত্রপাতি। রয়েছে ফায়ার প্রোটেকশন সিস্টেম, সিকিউরিটি লাইটিং, ব্যাংক ব্যবস্থা, ২১০ আসন বিশিষ্ট একটি মাল্টিপারপাস হল, ১৫০ আসনের তিনটি সেমিনার হল, ১৫০ আসনের দুইটি কনফারেন্স কক্ষ, বজ্রপাত প্রতিরোধক ব্যবস্থা, সিসিটিভি ও ভবনের দশম তলায় অত্যাধুনিক মানের রেস্ট হাউজ সুবিধা। এছাড়া ভবনের ৮ম তলায় থাকবে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ ও নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের অফিস। প্রকল্পটি পরিবেশ বান্ধব মাপকাঠিতে ‘সবুজ প্রকল্প’ হিসেবে গড়ে উঠেছে বলে জানান কউক চেয়ারম্যান ফোরকান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশেখ হাসিনার জন্যই পুনরুদ্ধার হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ
পরবর্তী নিবন্ধভালো খাবারের জন্য ভারত থেকে আসছে রোহিঙ্গারা : পররাষ্ট্রমন্ত্রী