নগরীর বন্দর থানার মেহের আফজল উচ্চ বিদ্যালয়ের পুনর্মিলনী উপলক্ষে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে বৈঠক চলাকালে যুবলীগকর্মী মহিউদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় সেই প্রধান শিক্ষক মাহফুজুল ইসলাম আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ কে এম মোজাম্মেল হক তাঁর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। এসময় একজন ছাড়া হাজী ইকবালসহ মামলার অন্যান্য আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের পিপি আয়ুব খান আজাদীকে বলেন, প্রধান শিক্ষকের কক্ষেই সেদিন অতর্কিতভাবে কুপিয়ে নৃশংসভাবে মহিউদ্দিনকে হত্যা করা হয়। এ মামলায় তিনি খুবই গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী। পুরো ঘটনা সেদিন তিনি নিজ চোখে দেখেছেন। এসব কিছু উল্লেখ করেই তিনি আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তিনি বলেন গত ফেব্রুয়ারিতে একজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। আরো অসংখ্য সাক্ষী রয়েছে এ মামলায়। পর্যায়ক্রমে সকল সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ এবং যুক্তিতর্ক শেষ করে দ্রুত মামলাটির বিচারকার্য শেষ করা হবে।
এ মামলায় গত ৩০ ডিসেম্বর চার্জশিটভুক্ত ২০জন আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। এর আগে ২০১৮ সালের ২২ জুলাই নানা কারণে বিতর্কিত আওয়ামী লীগ নেতা হাজী ইকবাল, তার ছেলে আলী আকবর ইকবাল, মেয়ে জামাই এবং ভাইসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ। বর্তমানে হাজী ইকবালসহ চার্জশিটভুক্ত আসামিরা জামিনে রয়েছেন। ২০১৮ সালের ২৬ মার্চ বন্দর থানার মেহের আফজল উচ্চ বিদ্যালয়ের পুনর্মিলনী উপলক্ষে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে বৈঠক চলাকালে যুবলীগকর্মী মহিউদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরে মহিউদ্দিনের মা নুর সেহের বেগম বাদী হয়ে হাজী ইকবালসহ ১৭ জনকে আসামি করে বন্দর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।