আগামীকাল সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে স্বাগতিক বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট ম্যাচ খেলতে নামবে নিউজিল্যান্ড দল। এই ম্যাচের আগে গতকাল সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ দল। অনুশীলন শুরুর আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বাংলাদেশ দলের কোচ চন্দিকা হাথুরুসিংহে। প্রায় পাঁচ বছর পর সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের টেস্ট ম্যাচ হচ্ছে। এর আগে একটি মাত্র টেস্ট ম্যাচ হয়েছে এই মাঠে। তাই এই স্টেডিয়ামের উইকেট সম্পর্কে ধারণা পাওয়াটা একটু কঠিন। আর এই সিরিজে বাংলাদেশ দল একেবারে নতুন চেহারায় মুখোমুখি হচ্ছে কিউইদের। একঝাঁক নিয়মিত ক্রিকেটার নেই এবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে। তবে এটিকে যতটা না চ্যালেঞ্জ, তার চেয়ে বেশি সম্ভাবনা হিসেবেই দেখছেন হাথুরুসিংহে। কোচের মতে নতুনদের জন্য এটি বড় সুযোগ।
গত জুনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্টের পর থেকে টানা সাদা বলের ক্রিকেট খেলেছে বাংলাদেশ। এবার লাল বলের লড়াইয়ে ফিরছে তারা। সিলেটে আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট। এই সিরিজ দিয়ে আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্রে যাত্রা শুরু হচ্ছে বাংলাদেশের। টানা ওয়ানডে খেলার পর লাল বলের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া খুব একটা সহজ নয়। বিশ্বকাপ শেষে দেশে ফিরেই জাতীয় ক্রিকেট লিগের শেষ রাউন্ডের ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন মুশফিকুর রহিম, নাজমুল হোসেন শান্ত, হাসান মাহমুদরা। আর শুরু থেকেই জাতীয় লিগে খেলেছেন মোমিনুল, তাইজুল ইসলাম, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, নাঈম হাসানরা। কিউইদের বিপক্ষে নামার আগে জাতীয় লিগের এই অভিজ্ঞতার জোরেই নিজেদের প্রস্তুতি সারার বার্তা দিলেন বাংলাদেশের প্রধান কোচ।
তিনি বলেন এই টেস্টের প্রস্তুতির জন্য আমরা এনসিএল ব্যবহার করেছি। যারা বিশ্বকাপে ছিল তারা দেশে ফিরে এনসিএলের শেষ রাউন্ডের ম্যাচ খেলেছে। প্রায় সব ব্যাটসম্যান এই সুযোগটা কাজে লাগিয়েছে। অন্যরাও আগে থেকেই এনসিএল খেলছিল। আপনারা জানেন, বিভিন্ন কারণে এটি নতুন চেহারার বাংলাদেশ। আমার মনে হয়, যতটা সম্ভব আমরা প্রস্তুত এবং টেস্ট সিরিজের দিকে তাকিয়ে আছি আমি। নতুন চেহারার এই বাংলাদেশ দলের অধিনায়কও নতুন একজন। আঙ্গুলের ইনজুরির কারনে নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান খেলতে পারছেননা এই সিরিজে। সে সাথে ছুটি নেওয়ায় সহ–অধিনায়ক লিটন দাসের অনুপস্থিতিতে এই সিরিজের দায়িত্ব পেয়েছেন শান্ত। সিলেটের মাঠে ২০১৮ সালে হওয়া একমাত্র টেস্টে খেলা ৫ জন ক্রিকেটার আছেন এবারের স্কোয়াডে। নেই তামিম ইকবাল, সাকিব, ইবাদত হোসেন, তাসকিন আহমেদ, লিটনরা। ব্যাটিংয়ে অভিজ্ঞ বলতে কেবল মুশফিক ও মোমিনুল। বোলিং বিভাগে তাইজুলের সঙ্গে স্পিন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। স্কোয়াডের বাকিদের টেস্ট খেলার তেমন অভিজ্ঞতা নেই।
হাথুরুসিংহে বলেন সব সংস্করণেই বাংলাদেশের হয়ে ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে খেলছে এরা। কেউ কেউ খেলছেন ১০ বছর। একদিক থেকে এটা সবার জন্য সামনে তাকানোর সুযোগ। তরুণরা কেমন করে তা দেখার সুযোগ। আমি মনে করি, কিছু কিছু ক্রিকেটার যারা দীর্ঘ দিন ধরে খেলছে, তাদের বাইরে ভাবার এখনই সময়। তারাতো সবসময় খেলবে না। তবে নানা কারণে এটি হচ্ছে। আমি মনে করি, এটি রোমাঞ্চকর এবং তরুণ কয়েকজনের জন্য সুযোগ নিজের নামে পরিচিত হওয়ার ও লম্বা ক্যারিয়ার গড়ার। আর তাই তারা কেমন করে সেটা দেখতে মুখিয়ে আছি।