ক্যারিয়ার শেষ করার ইঙ্গিত সাকিব দিয়ে রেখেছিলেন গেল বছরের শেষাংশে। গতকাল কানপুরের সংবাদ সম্মেলনে তিনি তাই বলে দিলেন। টেস্ট এবং টি–টোয়েন্টি নিয়ে তিনি তার পরিকল্পনার কথা জানান। এই দুটি ইভেন্টে তিনি আর দেশের পক্ষে অংশ নেবেন না। কখন থেকে তা হবে তাও জানিয়েছেন। এ নিয়ে বাংলাদেশ তো বটেই বৈশ্বিক গণমাধ্যমেও একেবারেই শীর্ষে সাকিব আল হাসান। কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল–জাজিরা, ব্রিটেনের গণমাধ্যম রয়টার্স, উইজডেন, পাকিস্তানের ডন, ক্রিকেট পাকিস্তান কিংবা ভারতের শীর্ষ সব গণমাধ্যমে খবরের শিরোনাম হয়েছেন সাকিব আল হাসান। অবসরের ঘোষণায় ক্রিকেট বিশ্বকে এতটাই চমক দিয়েছেন যার প্রভাব পড়েছে টুইটারেও। অবসরের ঘোষণার পরেই ভারতের টুইটার ট্রেন্ডিংয়ে শীর্ষ দশে উঠে এসেছেন সাকিব আল হাসান। শুধু সাকিবই না, মিরপুরের শের–ই বাংলা স্টেডিয়ামে অবসরের ঘোষণা দেয়ার পর মিরপুরও উঠে এসেছিল ভারতের টুইটার ট্রেন্ডে। সারাবিশ্বেই ক্রিকেট ট্রেন্ডিংয়ে ওপরে আছেন সাকিব। সাকিবের অবসর ঘোষণা এসেছে ভারতের কানপুর থেকে। স্বাভাবিকভাবেই ভারতের শীর্ষ সব গণমাধ্যমে শিরোনাম এখন তিনিই। কেউ সামনে এনেছে অবসরের ঘোষণাকে, কেউ কথা বলছেন কানপুরে তার ক্যারিয়ার শেষের সম্ভাব্যতা নিয়ে। ইন্ডিয়ান এঙপ্রেস, ইন্ডিয়া টিভি, এবিপি, এনডিটিভি সবখানেই সামনে এসেছে সাকিবের নাম। কেউ কেউ সামনে রেখেছে সাকিবের বিরুদ্ধে মামলার কথাগুলোকে। আল–জাজিরা অবশ্য সাকিবের ক্যারিয়ারের ইতির কথা এনেছে সামনে। ২০২৫ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে তার বিদায়ের কথা শিরোনামে এনেছে তারা। রয়টার্স সাকিবের অবসরকে উল্লেখ করেছে ‘বিস্ফোরক’ হিসেবে। ক্রিকেট বিষয়ক ম্যাগাজিন উইজডেনে উঠে এসেছে সাকিবের নিরাপত্তা ইস্যুর কথা।
মিরপুরে নিজের ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট খেলার কথা জানালেও সাকিব সামনে রেখেছেন নিরাপত্তা ইস্যুকে। যদি নিরাপদ বোধ না করেন তবে কানপুরেই হয়ত শেষবার দেখা যাবে তাকে। সংবাদ সম্মেলনে বলছিলেন, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে এবং এই ফরম্যাটের শেষটা আমি ঘরের মাঠেই খেলতে চাই। আমি বিসিবির কাছে নিজের শেষ টেস্টটি মিরপুরে খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছি। যদি তা না হয়, তাহলে কানপুরে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটিই আমার শেষ টেস্ট হবে।’