সাওল পদ্ধতির প্রসার হলে কমবে স্বাস্থ্য খাতের বাজেট

যুগপূর্তি অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য সচিব

| রবিবার , ১০ জানুয়ারি, ২০২১ at ৪:৫৭ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশে বিনা রিং, বিনা অপারেশনে হৃদরোগ চিকিৎসার পথিকৃৎ সাওল হার্ট সেন্টার। বাংলাদেশ কেবল চিকিৎসা কেন্দ্র নয়, এটাকে একটি সামাজিক আন্দোলন বলে মনে করেন স্বাস্থ্য সচিব মো. আবদুল মান্নান। তিনি বলেন, সাওল পদ্ধতির প্রসার হলে দেশের স্বাস্থ্য খাতের বাজেট অনেক কমে আসবে।
গতকাল শনিবার দুপুরে ইস্কাটন গার্ডেন রোডে, সাওল মিলনায়তনে সাওল হার্ট সেন্টার (বিডি) লিমিটেডের ১২ বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্য সচিব। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য সচিব বলেন, মোহন রায়হান যেমন রাজপথে বিপ্লবী ছিলেন, স্বাস্থ্যখাতেও তিনি সেই একই বিপ্লব করছেন। সাওল পদ্ধতির চিকিৎসা একটি বিপ্লবের নাম। সাওল হার্ট সেন্টারকে কীভাবে সরকারি স্বাস্থ্য খাতের সাথে সম্পৃক্ত করা যায়, করোনা মহামারীর পরে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানান তিনি। সাওল হার্ট সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, কবি মোহন রায়হান বলেন, ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় মানুষকে হৃদরোগ মুক্ত রাখার স্বাস্থ্য আন্দোলন হিসেবেই বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সাওল হার্ট সেন্টার। সাওল- দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় হৃদরোগ চিকিৎসা সহজলভ্য করে তোলার সামাজিক আন্দোলন।
তিনি বলেন, আমাদের স্বপ্ন-বাংলাদেশে প্রথম নন সার্জিক্যাল হার্ট ট্রিটমেন্ট এবং লাইফস্টাইল হাসপাতাল ও মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা। এ জন্য সব শ্রেণী-পেশার মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্‌বান জানান তিনি। অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ম. হামিদ, আমাদের নতুন সময়ের সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান, সমাজতাত্ত্বিক ড. সলিমুল্লাহ খান, সাবেক সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম মনি প্রমুখ। ড. সলিমুল্লাহ খান বলেন, রোগ সারাতে গিয়ে আধুনিক বিজ্ঞান উল্টো অনেক রোগ সৃষ্টি করেছে। বিজ্ঞানের সেই সমস্যাটি চিহ্নিত করে একটি নতুন চিকিৎসা ব্যবস্থা আবিষ্কার করেছে সাওল। নাঈমুল ইসলাম খান জানান, মোহন রায়হানের একার উদ্যোগটিকে সরকারিভাবে সহায়তা করা দরকার। এছাড়াও ভিডিও বার্তায় শুভেচ্ছা জানান- সাওল হার্ট সেন্টার, ভারতের প্রতিষ্ঠাতা উপমহাদেশের হৃদরোগ চিকিৎসার কিংবদন্তি ডা. বিমল ছাজেড়। ভিডিও বার্তায় আরো শুভেচ্ছা জানান- গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের সাধারণ সম্পাদক কমরেড খালেকুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, সিএমএইচের সাবেক চিফ সার্জন মেজর জেনারেল (অব.) ডা. বি কে সরকার, সাবেক সংসদ সদস্য ও ডাকসুর সাবেক ভিপি আখতারউজজামান, আইইডিসিআর উপদেষ্টা ও ডাকসুর সাবেক জিএস ডা. মুশতাক হোসেন, নিউ এজের সম্পাদক নুরুল কবীর, বাংলাদেশ আই হসপিটালের চেয়ারম্যান ও ঢামেকসুর সাবেক ভিপি ডা. মাহবুবুর রহমান চৌধুরী, সিরাজুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালের কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. এ এফ এম সাখাওয়াত হোসেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ও আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিসের প্রকল্প পরিচালক আবদুল হাকিম মজুমদার প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কবি ও কণ্ঠশিল্পী ঝর্না রহমান। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধটিকা এক মাসের মধ্যে পাওয়ার আশা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
পরবর্তী নিবন্ধটিকা নিলেন সৌদি বাদশা