সাউদার্ন ভার্সিটিতে মোডিফাইড বিটুমিনের ব্যবহার নিয়ে সেমিনার

| বৃহস্পতিবার , ২২ ডিসেম্বর, ২০২২ at ৬:৫১ পূর্বাহ্ণ

সাউদার্ন ইউনিভার্সিটির পুরকৌশল বিভাগের উদ্যোগে ‘সড়ক নির্মাণে মোডিফাইড বিটুমিনের ব্যবহার’ বিষয়ক সেমিনার সম্প্রতি বিভাগীয় সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিভাগীয় প্রধান সহকারী অধ্যাপক প্রকৌশলী আবুল হাসানের সভাপতিত্বে আয়োজিত সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রভাষক প্রকৌশলী মো. আরাফাত আহমেদ। প্রভাষক অভ্র আজমাইনের সঞ্চালনায় সেমিনারে উপস্থিত ছিলের বিভাগের শিক্ষকবৃন্দসহ তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা।

সেমিনারে শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকগণের প্রশ্নের ধারাবাহিক উত্তর প্রদান করেন বক্তা প্রকৌশলী মো.আরাফাত আহমেদ। শেষে বিভাগীয় প্রধান আবুল হাসান বলেন, সেমিনার যথেষ্ট তথ্যবহুল ছিল। সেমিনার থেকে লব্ধ শিক্ষা যেন শিক্ষার্থীরা তাঁদের সমাপনী শিক্ষাবর্ষের গবেষণা কাজের বিষয়বস্তু রাখার ব্যাপারে অগ্রসর হন। অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্য রাখেন প্যানেল বোর্ডের প্রধান সহকারী অধ্যাপক ফাহমিদা রফিক। তিনি বলেন, সেমিনারের বিষয়বস্তু কেবল যেন উপস্থাপনার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থাকে, ব্যবহারিক কাজে সেটির প্রয়োগের বিষয়টির উপর জোর দিতে বলেন।

মূল প্রবন্ধে প্রকৌশলী মো. আরাফাত আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের প্রায় শতকরা ৯০ ভাগ রাস্তায় বিটুমিন ব্যবহার করা হয়। প্রথাগত বিটুমিন রাস্তা সুদীর্ঘ সময় ধরে একটি বিশ্বাসযোগ্য পন্থা হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। কিন্তু বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে প্রথাগত বিটুমিন ব্যবহারে রাস্তা টেকসই হচ্ছে না বলে দেখা যাচ্ছে, এতে মৌসুমী বৃষ্টিপাত, রাস্তায় জলাবদ্ধতাসহ বিভিন্ন সমস্যাকে দায়ী করা যেতে পারে।

রূপান্তরিত বিটুমিনের ব্যবহার এমন সমস্যার সমাধান হতে পারে। বিটুমিনের রপান্তরকরণ প্রক্রিয়ায় সাম্প্রতিক বিভিন্ন গবেষণার আলোকে দেখা যায় বিটুমিন সাধারণত পলিমার, রাসায়নিক বিভিন্ন উপাদান যেমন সালফার, পলিফসফরিক এসিডসহ রাসায়নিক মিশ্রনের বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রূপান্তর করণে আশানুরূপ ফলাফল পাওয়া যায়।

তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের জন্য রুপান্তরিত বিটুমিন ব্যবহারে সরকারি খরচ কমানো এবং রাস্তা দীর্ঘস্থায়ী করণে ব্যবহার করা যেতে পারে বলে আশা করা যায়। এছাড়াও সেমিনারে রাশিয়ার কার্বন ন্যানোটিউব, সালফার, রিএকটিভ পলিমার রুপান্তরিকরণ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম চেম্বারের বার্ষিক সাধারণ সভা
পরবর্তী নিবন্ধবিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণা সংস্কৃতি বাড়াতে হবে