সাইবার ফরেনসিক ল্যাব হচ্ছে চট্টগ্রামে

সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্র

| শনিবার , ৫ ডিসেম্বর, ২০২০ at ৫:৪৩ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামে তৈরি হচ্ছে ডিজিটাল সাইবার ফরেনসিক ল্যাব। যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিগত সহায়তায় চট্টগ্রাম নগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটে এই ল্যাব স্থাপন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ল্যাবের অবকাঠামোগত কাজ শুরু হয়েছে। এই মাসের শেষের দিকে ল্যাবের বিভিন্ন সরঞ্জাম চট্টগ্রামে পৌঁছানোর আশা করেছেন নগর পুলিশের কর্মকর্তারা। জানুয়ারিতে প্রথম পর্যায়ে ১২ জন কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে চালু করা হবে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের কাউন্টার টেরেরিজম ইউনিটের অধীনে সাইবার অপরাধ তদন্ত বিভাগ ও ডিজিটাল সাইবার ফরেনসিক ল্যাব। যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের এটিএর (এন্টিটেরোরিজম অ্যাসিসটেন্স) আওতায় এ প্রশিক্ষণ এবং সাইবার ফরেনসিক ল্যাব হচ্ছে। খবর বিডিনিউজের।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, সাইবার অপরাধ তদন্ত একটা বিশেষায়িত বিষয়। এটা সবার তদন্ত করার সুযোগ নেই। এই ল্যাব চালু হলে সাইবার অপরাধের পাশাপাশি অন্যান্য মামলা তদন্তেও সহায়ক হবে। সাইবার বিষয়ক বিভিন্ন অপরাধের বিশ্লেষণ ও রহস্য উদঘাটনে আগে যেসব সুবিধা বাইরে থেকে নেওয়া হত, ল্যাব চালুর ফলে তা এখান থেকেই পাওয়া যাবে। তবে পুলিশের অন্যান্য ইউনিট থেকে যেসব সুবিধা নেওয়া হত তাও অব্যাহত থাকবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রশিক্ষকদের দ্বারা যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে সেটা সম্পন্ন হলে ল্যাবের কাজ নিয়ে আরও পরিষ্কার ধারণা আসবে বলে জানান নগর পুলিশ প্রধান। তিনি বলেন, অতীতে সিএমপি সদস্যদের যেসব প্রশিক্ষণ বাইরে কিংবা অভ্যন্তরীনভাবে হয়েছে, ল্যাব চালু হলে সিএমপিতে সাইবার অপরাধের তদন্তের বিষয়টি কাঠামোগত পর্যায়ে আসবে। উন্নত দেশের সাইবার ল্যাবের আদলে চট্টগ্রামের এই ল্যাবটি করা হবে বলে জানান সালেহ মোহাম্মদ তানভীর।
নগর পুলিশের কর্মকর্তারা জানান, ইন্টারনেটের সহজলভ্যতার কারণে যেমন বাড়ছে ব্যবহারকারীর সংখ্যা তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সাইবার অপরাধ। যেগুলোর সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হচ্ছে উঠতি বয়সী তরুণী এবং নারীরা। প্রতিদিন চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায়, গোয়েন্দা কার্যালয়ে কিংবা কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটে অভিযোগ জমা পড়ছে। যেগুলোর বেশিরভাগ ভিকটিম নারীরা। চট্টগ্রামে সাইবার ফরেনসিক ল্যাব চালুর ফলে এসব অপরাধের তদন্ত করাও সহজ হয়ে উঠবে বলে জানান তারা।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আসিফ মহিউদ্দীন বলেন, সাইবার অপরাধ সংগঠিত হওয়ার পর দুইটি দিক থাকে যার একটি শনাক্তকরণ এবং অপরটি তদন্ত। চট্টগ্রামে চালু হতে যাওয়া ল্যাবটির মাধ্যমে পুলিশের তদন্ত কাজের অগ্রগতি ঘটবে। জানুয়ারি মাসে ১২ জনের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এই বিভাগ এবং ল্যাবের কাজ শুরু হবে। ২০২১ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে আরও কিছু কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষিত করা হবে। তিনি বলেন, ল্যাবের সরঞ্জাম এবং সফটওয়ারসহ প্রযুক্তিগত বিভিন্ন সহায়তা দেবে এটিএ। যেগুলোর মাধ্যমে সাইবার অপরাধ এবং সামাজিক গণমাধ্যমের মাধ্যমে ছড়ানো অপরাধেরও তদন্ত কাজ সহজ হবে।
এছাড়া বিভিন্ন সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের গুজব ছড়িয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করা হয়ে থাকে। এ ল্যাব চালুর সে ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে দ্রুত পদক্ষেপও নেয়া যাবে আশা এ পুলিশ কর্মকর্তার। পাশাপাশি অন্যান্য মামলারও ডিজিটাল সাইবার ফরেনসিক পরীক্ষা করা যাবে বলে জানান এডিসি আসিফ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিদেশফেরত সবার করোনা ‘নেগেটিভ’ সনদ বাধ্যতামূলক
পরবর্তী নিবন্ধদেশে ২৪ ঘণ্টায় ২৪ মৃত্যু