চট্টগ্রামে ২০২১ সালে সাইবার ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরু হয় (এর আগে রাজধানী ঢাকার ট্রাইব্যুনালে চট্টগ্রামের মামলার বিচারকাজ চলত)। বর্তমানে ট্রাইব্যুনালটিতে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দেড় হাজারের উপরে। এর মধ্যে ১০০ মামলা দায়ের হয় গত জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসে। ট্রাইব্যুনাল থেকে পাওয়া মাসিক তথ্য বিবরণীতে উঠে আসে এ তথ্য। তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ শেষে ট্রাইব্যুনালটিতে মামলার সংখ্যা ছিল এক হাজার ৪০৩টি। ২০২৩ সালের জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি শেষে মামলার সংখ্যা দাঁড়ায় ১ হাজার ৫০৩ টিতে। মার্চ মাসে নতুন করে মামলা দায়ের হয় ৪৭টি। থানা থেকে যুক্ত হয় আরো ২৫টি। সব মিলে মার্চ মাসে মোট মামলার সংখ্যা দাঁড়ায় ১ হাজার ৫৭৫টি। এর মধ্যে মার্চ মাসে মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে ৬১টি। বর্তমানে অর্থাৎ মার্চ মাস শেষে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫১৪টি।
তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রামের সাইবার ট্রাইব্যুনালে পাঁচ বছর ও পাঁচ বছরের অধিক সময় ধরে বিচারাধীন রয়েছে ৯৮ টি মামলা। এর মধ্যে পাঁচ বছর ধরে বিচারাধীন রয়েছে ৮৩টি। বাকি ১৫ টি মামলা পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে বিচারাধীন রয়েছে।
ট্রাইব্যুনাল সূত্র জানায়, ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে ১ হাজার ৯৯টি মামলা দায়ের হয়। এর মধ্যে থানা থেকে প্রাপ্ত মামলাও রয়েছে। পরের বছর ২০২২ সালে ৩১৬টি মামলা দায়ের হয়। আর ২০২৩ সালে দায়ের হয় ২৮৩টি মামলা। ট্রাইব্যুনালের পিপি মেজবাহ উদ্দিন আজাদীকে বলেন, বর্তমানে থাকা দেড় হাজার মামলার মধ্যে ৭০০ মামলার বিচার কাজ শুরু হয়েছে। বাকি মামলাগুলো প্রতিবেদনের জন্য রয়েছে। তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের হওয়া মামলাগুলোর তদন্তে দেখা যায়, প্রায় ঘটনা মিথ্যা। আপোষ হয় বেশি। এ জন্য বিবাদীর সাজা হয় না, খালাস পেয়ে যায়। মূলত অপরকে ঘায়েল করতেই মামলাগুলো দায়ের করা হয়। প্রধানমন্ত্রী বা বিশেষ কোনো ব্যক্তির নামে দায়ের হওয়া মামলাগুলো আপোষ হয় না। ঘটনাও দেখা যায় সত্য হয়। এ কারণে প্রধানমন্ত্রী বা বিশেষ ব্যক্তির বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলায় আসামিরা সাজা পায়, খালাস দেওয়া হয় না। পিপির কাজ হচ্ছে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করা উল্লেখ করে মেজবাহ উদ্দিন বলেন, মামলা দায়ের হওয়ার পর দুই পক্ষ–ই আপোষে চলে যায়। নিজেদের মতো করে আদালতের কাছে সাক্ষ্য দেন। এ জন্য খালাস পেয়ে যায় আসামি। এসব কারণে দেখা যায় নিষ্পত্তির সংখ্যায় সাজা পাওয়া আসামির সংখ্যা কম। অন্যদিকে খালাস পাওয়া আসামির সংখ্যা বেশি।