চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, ৫২’র ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে সর্বস্তরে বাংলা প্রচলন না হওয়া দুঃখজনক। মানুষ নিজে থেকে ভাষার বিষয়টি সম্পর্কে সচেতন না হলে আইন প্রয়োগ করে তা বাস্তবায়ন করা কঠিন। বাংলা ভাষা ব্যতীত অন্য ভাষার সাইন বোর্ডের বিরুদ্ধে চসিক ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। যতদিন নগরীর দৃশ্যমান বিভিন্ন সরকারি–বেসরকারি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড বাংলা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না ততদিন ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা আদায়সহ অপসারণের অভিযান অব্যাহত থাকবে। মেয়র বলেন, আগামী জুলাই থেকে যে সমস্ত প্রতিষ্ঠান ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন বা নতুন লাইসেন্স ইস্যু করবে তাদের সাইনবোর্ড বাংলায় করতে হবে। অন্যথায় লাইসেন্স নবায়ন ও ইস্যু করা হবে না।
গতকাল সোমবার টাইগারপাসস্থ নগর ভবনের মেয়র দপ্তরে সর্বত্র বাংলা প্রচলন উদ্যোগের কমিটির আহ্বায়ক ডা. মাহফুজুর রহমানের নেতৃত্বে প্রদানকৃত স্মারকলিপি গ্রহণকালে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় বাংলা প্রচলন উদ্যোগের মুশিউর রহমান খান, জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরী, আবুল বাসার, কাউছার উদ্দিন, লায়ন ডা. আর কে রুবেল, আবৃত্তিশিল্পী দিলরুবা খানম, নিজাম উদ্দিন বক্তব্য দেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমান বলেন, দেশের সংবিধান ১৯৮৭ সালে বাংলা ভাষা আইন ও ২০১৪ সালে সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুসারে স্থানীয় সরকারসমূহের উপর ন্যস্ত করেছে। চসিক ইতোমধ্যে নামফলকে বাংলা ভাষা ব্যবহারে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। মেয়র বাংলা প্রচলন উদ্যোগের কমিটির বক্তব্য শোনেন। নগরীতে নামফলক বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবেন বলে আশ্বস্ত করেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
