সমপ্রতি টেলিভিশন সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দলমতের ঊর্ধ্বে থেকে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুল ইসলাম সানতু। তিনি বলেন, এই ঘটনায় যতই প্রভাবশালী হোক না কেন, কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। আইন তার নিজস্ব গতিতেই চলবে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় পুলিশ সুপার এ কথা বলেন। সভায় তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রামের জঙ্গল সলিমপুর এলাকাটি এখন সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে, যা আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এছাড়াও পাহাড়ের আঞ্চলিক বাহিনীগুলোর সঙ্গে চট্টগ্রামের জঙ্গল সলিমপুরের সন্ত্রাসীদের যোগসূত্র তৈরি হয়েছে, যা দেশের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি। এ সময় তিনি সন্ত্রাসীদের মুখোশ উন্মোচনে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন। সিনিয়র সাংবাদিক শাহনেওয়াজ রিটনের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের টিভি ইউনিট প্রধান তৌহিদুল আলম, সাংবাদিক সোহাগ কুমার বিশ্বাস, লতিফা আনসারী রুনা, আকরাম হোসেন, মুজিবুল হক, আহমেদ রাকিব, সাইফুল ইসলাম এবং ক্যামেরা জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি এনামুল হক। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সিরাজুল ইসলাম, চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান, এখন টিভির ব্যুরো প্রধান ও চট্টগ্রাম টেলিভিশন রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক (সিটিআরএন)-এর আহ্বায়ক হোসাইন জিয়াদ, সিটিআরএন– এর যুগ্ম আহ্বায়ক একে আজাদ, নির্বাহী সদস্য আরিচ আহমেদ শাহ ও সৈয়দ তাম্মিম মাহামুদসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন গণমাধ্যমের সিনিয়র সাংবাদিকরা। সভায় হামলার শিকার সাংবাদিক হোসাইন জিয়াদ জঙ্গল সলিমপুরে সংঘটিত হামলার বিস্তারিত বর্ণনা তুলে ধরে বলেন, এ ধরনের ঘটনা সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও পেশাগত স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। মতবিনিময় অনুষ্ঠান শেষে চট্টগ্রাম টেলিভিশন রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক (সিটিআরএন) এর পক্ষ থেকে পুলিশ সুপারের কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপিতে দ্রুত সময়ের মধ্যে হামলায় জড়িত অপরাধীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।