সাংবাদিকতা নিয়ে পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশনের প্রতিক্রিয়ায় উদ্বেগ সাংবাদিক সংগঠনের

| রবিবার , ২৩ জুন, ২০২৪ at ১০:২৬ পূর্বাহ্ণ

সাংবাদিকতা নিয়ে পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশনের প্রতিক্রিয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দেশের পেশাজীবী সাংবাদিকদের সর্বোচ্চ সংগঠন বিএফইউজেবাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)। খবর বাসসের।

বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ ও ডিইউজের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন গতকাল শনিবার এক যৌথ বিবৃতিতে এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

সংশ্লিষ্ট সকল মহল স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিবেশ বিঘ্নিত হয় এমন বক্তব্য প্রদান থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএফইউজে ও ডিইউজের নেতৃবৃন্দ বলেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং স্বাধীন সাংবাদিকতার অধিকার সংবিধানেই স্বীকৃত রয়েছে। শত হুমকি ও ধমকের মুখেও প্রামাণিক তথ্যের ভিত্তিতে সাংবাদিক সমাজ তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখবেন।

বিবৃতিতে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন, সামপ্রতিক সময়ে দেশের কিছু বর্তমান ও সাবেক সরকারি কর্মকর্তাদের বিপুল ও অস্বাভাবিক সম্পদের বিবরণ সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। কোনো বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে নয়, দায়িত্বশীল সাংবাদিকরা প্রাপ্ত তথ্য, দলিল যাচাই বাছাই করে, প্রমাণযোগ্য বিষয়গুলোই প্রকাশ করছেন বলে আমরা বিশ্বাস করি। কিন্তু এসকল সংবাদ প্রকাশের পর কোনো কোনো নেতা এবং কোনো কোনো সংগঠন যে ভাষায় প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন তা স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতি হুমকি বলে আমরা মনে করি।

বিএফইউজে ও ডিইউজের নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, সরকারি বিবৃতি, ভাষ্য, ওয়েব সাইটে প্রকাশিত তথ্য বা সাংবাদিক সম্মেলনে পাওয়া সব তথ্যই গুরুত্বপূর্ণ। এই তথ্য থেকেই সাংবাদিকরা সংবাদ তৈরি করেন। কিন্তু সাংবাদিকদের বড় কাজটি হচ্ছে, প্রভাবশালীরা যে তথ্য গোপন রাখতে চান তা অনুসন্ধান করে বের করা এবং পেশাদারিত্বের সাথে জনগণকে বিস্তারিত জানানো। আশার কথা, ইতোমধ্যে প্রভাবশালী মহল সম্পর্কে কিছু তথ্যভিত্তিক খবর প্রকাশিত হয়েছে। আমরা এতে কারো উত্তেজিত হওয়ার কোনো কারণ দেখছি না। এক্ষেত্রে যারা এসব খবর প্রকাশ করেছেন তাদের দায়িত্ব এ সকল বিষয় প্রমাণ করা এবং যাদের নামে প্রকাশিত হয়েছে তাদের কাজ হচ্ছে প্রকাশিত তথ্যগুলো সঠিক নয় তা প্রমাণ করা।

সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, সরকার ও সংশ্লিষ্ট মহলের দায়িত্ব প্রকাশিত তথ্য নিয়ে তদন্ত করা এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ নিশ্চিত করা। এ সকল বিষয় নিয়ে পারস্পরিক দোষারোপ করা কোনো শোভন কাজ হতে পারে না। তারপরও কেউ সংক্ষুদ্ধ হলে প্রেস কাউন্সিলে যেতে পারেন। কোনো কর্মকর্তা দুর্নীতি করে থাকলে এটি তার ব্যক্তিগত বিষয়, কোনো বাহিনীর বিষয় নয় বলে মনে করেন বিএফইউজে ও ডিইউজের নেতৃবৃন্দ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধতাসাউফ চর্চায় আল্লামা তৈয়্যব শাহ (রহ.) ছিলেন পথিকৃৎ
পরবর্তী নিবন্ধবান্দরবানে কেএনএফের ৩ সদস্য জেলে