দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সিন্ডিকেট ভাঙা এবং সিন্ডিকেটকে ‘বাইপাস’ করে স্থায়ী সমাধানে জোর দিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। স্থায়ী সমাধান হিসেবে ট্রাকে করে পণ্য বিক্রি এবং প্রয়োজনে প্রত্যেকটা বাজারে কৃষক যাতে সরাসরি তার উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করতে পারেন তার জন্য নির্দিষ্ট কর্নার করার ঘোষণা দেন তিনি। সিন্ডিকেট যারা করে তাদের বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেপ্তারের নির্দেশনা দেন। একইসঙ্গে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারি কর্মকর্তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এছাড়া পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে গঠিত টাস্কফোর্সের অভিযান চট্টগ্রামে কম হওয়ায় এবং ট্রাকে করে পণ্য বিক্রির বিষয়ে পদক্ষেপ না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এক্ষেত্রে সরকারি কর্মকর্তাদের সদিচ্ছার ঘাটতি এবং সরকারকে অসহযোগিতা করছে বলে দাবি করেন তিনি। এ সময় সরকারি কর্মকর্তাদের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, নিয়মনীতি মেনে বাংলাদেশে অভ্যুত্থান হয়নি এবং সামনে নিয়মনীতি মেনে সরকার পরিচালনা হবে না, যদি আপনারা সহযোগিতা না করেন। গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রাম বিভাগ এবং জেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ নূরুল্লাহ নূরী, জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মাসুদ আহম্মদ, জেলা পুলিশ সুপার মো. রায়হান উদ্দিন খানসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা। বক্তব্য রাখেন জুলাই বিপ্লবের সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি, মোহাম্মদ রাসেল ও জুবাইদুল। সভায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে নগরে ছাত্রলীগের মিছিলের বিষয়টিও আলোচনায় এসেছে। সভায় কয়েকটি সংস্থার প্রতিনিধি উপস্থিত না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।
সরকারি কর্মকর্তাদের সদিচ্ছার ঘাটতি : আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, টাস্কফোর্স বা ভোক্তা অধিকার আপনারা কয়টা অভিযান পরিচালনা করেছেন, কি পরিমাণ কাজ করেছেন সে বিষয়ে আমি কিছুই পাইনি। আমাকে বাণিজ্য সচিব তিন দিনের টাস্কফোর্স প্রতিবেদন পাঠিয়েছিলেন। সেখানে আমি একদিন চট্টগ্রামের নাম পেয়েছি, বাকি দুদিন চট্টগ্রামের নামই নেই। ৪০–৪৫টা জেলার মধ্যে টাস্কফোর্সের অভিযান করেছে, কিন্তু চট্টগ্রামে তিন দিনের মধ্যে দুদিনই আসলে কোনো অভিযান হয়নি। আমার মনে হয় এই জায়গায় আপনাদের সদিচ্ছার ঘাটতি আছে কিংবা সরকারের প্রতি অসহযোগিতার একটা ব্যাপার আছে।
তিনি বলেন, কেউ কেউ বলছেন যে সরকার থেকে নির্দেশনা নেই। কিন্তু সরকার থেকে স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে এবং ভোক্তা অধিকারের যে সেটআপ আছে তার ঊর্ধ্বে গিয়েও একটা টাস্কফোর্স করা হয়েছে। যাতে এই টাস্কফোর্স নিয়ে ফিল্ডে আপনারা কাজ করেন। ঢাকায় কিন্তু সেই কাজটা করা হচ্ছে। বাণিজ্য উপদেষ্টা ও বাণিজ্য সচিব নিজে বাজারে গিয়ে মনিটরিং করছেন। ঢাকায় কাজটা হচ্ছে। কিন্তু চট্টগ্রামের মতো গুরুত্বপূর্ণ শহরে সে কাজটা হচ্ছে না।
বিপ্লবের পর সিস্টেম চলে না : উপদেষ্টা বলেন, এখনো প্রশাসনে আপনাদের অসহযোগিতার কারণে যে স্থবিরতা আছে এটার জন্য সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার ক্যাবিনেট মিটিংয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদেরকে অনেক কঠিন কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে। একটা বিপ্লব হয়েছে। অনেকে এটা এখনো বুঝে উঠতে পারছেন না মনে হয়। একটা বিপ্লবের পর কোনো কিছু সিস্টেমওয়াইজ চলে না, কিন্তু এখনো আমরা সেই সিস্টেমটাকে বজায় রেখেছি। আমরা প্রত্যাশা করি আপনারা এটা বজায় রাখতে আমাদের সহযোগিতা করবেন। যদি সিস্টেম ভাঙার প্রয়োজন পড়ে তাহলে আমরা সিস্টেম ভাঙব। প্রয়োজনে নতুন নিয়োগ দিয়ে আপনাদের এই জায়গাগুলোতে নতুন লোকদের বসাব। জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিষয়ে সরকার কোনো ছাড় দেবে না।
ট্রাকে পণ্য বিক্রির উদ্যোগ না নেওয়ায় ক্ষোভ : ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, এখানে ট্রাক সেলের বিষয়টা সচিব সাহেব বললেন। কিন্তু আমাদের সরকারি কর্মকর্তারা কেউ নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারলেন না। কিন্তু ছাত্র প্রতিনিধিদের মধ্যে বলল, কালকের মধ্যেই তারা সেটা শুরু করবে। আপনাদের এঙপার্টিজ (অভিজ্ঞ কর্মকর্তা), পড়াশোনা এবং আপনাদের প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা, এত কিছু থাকা সত্ত্বেও যদি করতে না পারেন তাহলে নতুনদের আমরা নিয়ে আসি। আপনাদের রেখে আমরা কী করব?
তিনি বলেন, বুদ্ধিভিত্তিক অনেক কথা সব মানুষ বুঝে না। যেটা বুঝে, সকালে, দুপুরে ও রাতে খাব কি? আমার সন্তান কি খাবে? সুতরাং যে বিষয়গুলো জনগণের জীবনের সঙ্গে সম্পৃক্ত সে বিষয়গুলোতে আমাদের কঠোর হতে হবে।
বিশেষ ক্ষমতা আইন প্রয়োগের নির্দেশনা : আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, আপনারা বলেন ভোক্তা অধিকারের আইন কঠোর না। কিন্তু আমাদের তো বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেপ্তার করার প্রভিশন আছে। তাহলে যারা সিন্ডিকেট করছে তাদের বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেপ্তার করেন। সেটার জন্য স্থানীয়ভাবে যতটুকু সহযোগিতা করা দরকার ছাত্ররা আছে, রাজনৈতিক দলগুলো এই সরকারকে সহযোগিতা করছে। তারাও সহযোগিতা করবে। সরকারের পক্ষ থেকেও সর্বোচ্চ সাপোর্ট ও ব্যাকআপ দেওয়ার সদিচ্ছা আছে, সেটা আমরা বলেছি।
তিনি বলেন, অন্য সরকারের সময়ে যেটা হয়, সরকার দলীয় সংগঠনগুলো মাঠ পর্যায়ে স্থানীয় প্রশাসনকে সহযোগিতা করে। এখন আমরা এমন পরিস্থিতিতে আছি যেখানে সবগুলো রাজনৈতিক দলের সংগঠন ও ছাত্ররা এবং জনগণও সহযোগিতা করছে। আপনি যদি ভালো একটা কাজ করতে গিয়ে কারো বাধার সম্মুখীন হন তাহলে আমি নিশ্চিত জনগণ তাকে (যে বাধা দেয়) উচিত শিক্ষা দেবে। তারপরও আপনারা কেন কাজ করছেন না? আপনাদের মধ্যে সদিচ্ছাটা কেন নেই বুঝতে পারছি না।
সরকারি কর্মকর্তাদের হুঁশিয়ারি : ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, বিগত ১৬ বছর ফ্যাসিবাদের শাসনামলে আপনাদের একটি মনোভাব ডেভেলাপ হয়ে গেছে, ‘জি হুজুর জি হুজুর’ করে চেয়ারে যে বসে আছে তাকে খুশি রাখতে পারলেই বোধ হয় হয়ে যায়। কোনো কাজ করার প্রয়োজন পড়ে না। এখন কিন্তু সেই পরিস্থিতি নেই। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশে সেই পরিস্থিতি থাকবে না। কেউ যদি কাজ না করে, জবাবদিহিতা করতে ব্যর্থ হয়, তবে তাকে আর আমাদের প্রয়োজন নেই। আমলারা বেঁচে থাকার জন্য এমন এমন নিয়মনীতি করা আছে যে আপনাদেরকে আসলে হাত দেওয়া যায় না, কিছু করা যায় না। আমরা কিন্তু ওইসব নিয়মনীতির তোয়াক্কা করব না। নিয়মনীতি মেনে বাংলাদেশে অভ্যুত্থান হয়নি এবং সামনে নিয়মনীতি মেনে সরকার পরিচালনা হবে না, যদি আপনারা সহযোগিতা না করেন।
সিন্ডিকেট ভাঙার নির্দেশনা : আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। এস আলমের মতো যেসব প্রতিষ্ঠানের দিকে তাকানো পর্যন্ত সাহস করা যেত না বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদেরও ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। একইসঙ্গে সিন্ডিকেটকে বাইপাস করে স্থায়ী সমাধান করতে হবে। এটা প্রশাসনের জায়গা থেকে সহযোগিতা করা হবে, কিন্তু শুরু করতে হবে প্রাইভেট সেক্টর দিয়ে। উদ্যোক্তা সৃষ্টি করতে হবে, সামাজিক ব্যবসাকে সরকার প্রমোট করবে।
তিনি বলেন, আশা করব দ্রুত চট্টগ্রামে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য কাজ করবেন। একইভাবে স্থায়ী সমাধানের ট্রাক সেলের চেইন ডেভেলাপ করতে হবে। তবে এমন না যে, এখন সমস্যা হয়েছে বলে শেষ করে দিবেন। যারা ব্যবসা করেন তারাও এটাকে ব্যবসা হিসেবে ভাবতে পারেন। এটার জন্য যত সহযোগিতা প্রয়োজন আমাদের পক্ষ থেকে করা হবে।
শ্রম উপদেষ্টা বলেন, প্রত্যেকটা বাজারে প্রয়োজনে আমরা একটা কর্নার করব, যেখানে কৃষকের পণ্য সরাসরি বিক্রি হবে। মাঝখানে কোনো হাত বদল হবে না। এর সুফলটা পাবে জনগণ। জনগণকে সুফল দেখাতে পারলে জনগণই আপনাদের সবরকম কার্যক্রমে সহযোগিতা করবে।
তিনি বলেন, যারা সিন্ডিকেটের গোড়ায় বসে আছে, সিন্ডিকেটের যে সোর্সগুলো আছে তাদের শনাক্ত করুন। কেউ যদি এখনো পরিবর্তনটা উপলব্ধি করতে না পারে, জনগণের সুযোগ–সুবিধা না ভেবে কাজ করে, যে সিন্ডিকেট এতদিন হিরো সেজে নিজেদের পকেট ভারীর করার জন্য কাজ করেছে, তাদেরকে প্রয়োজনে বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেপ্তার করেন। সেক্ষেত্রে সরকারের সর্বোচ্চ সহযোগিতা থাকবে সেটা আমি নিশ্চিত করছি।
বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম বলেন, যে বিষয়গুলো আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, আশা করছি পরবর্তী দিন থেকে তা কার্যকর হবে এবং বাজারে এর প্রতিফলন ঘটবে। বাজার নিয়ন্ত্রণে সিন্ডিকেট ভাঙতে চেইন ধরে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, জেলা টাস্কফোর্স কমিটিতে কাস্টমসকে বলে দিয়েছি, পেঁয়াজসহ অন্যান্য নিত্যপণ্য যে দাম দিয়ে ব্যবসায়ীরা কিনেছেন সেটার তালিকা জেলা প্রশাসনকে দেবে। অথবা ১০–২০ শতাংশ প্রফিট করে ওটার বাজার মূল্য কত হতে পারে সেটা বাজারে টাঙিয়ে দিতে পারে।
প্রতিনিধি না আসায় ক্ষোভ : সভায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন শ্রম সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। তিনি বলেন, প্রাণিসম্পদের কেউ নেই, এটা নোট রাখেন। এখানে সরকারের একজন উপদেষ্টা এসেছেন, এতগুলো লোক এসেছেন। তারা কেন আসেনি। ডিম নিয়ে এখন সবচেয়ে বেশি কথা হচ্ছে। আমি প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টাকে ফোন দিয়ে জানাব, উনার অফিসার আসেননি, এই অফিসার আমাদের দরকার নেই।
সরকারের প্রতিটি অঙ্গকে আগামী সময়ে ফাংশনাল (কার্যকর) হতে হবে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, এখানে দেখলাম যে ৪৮টি জায়গা থেকে প্রতিনিধি আমন্ত্রণ করা হলেও ১০ থেকে ১২ জন প্রতিনিধি নেই। লাইভস্টক এখন গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু তাদের প্রতিনিধি নেই। আপনাদের যেখানে প্রতিনিধিত্ব প্রয়োজন সেখানে প্রতিনিধিত্ব করতে হবে। প্রতিনিধিত্ব না করলে আমরা অবশ্যই জবাবদিহির আওতায় আনব। মিটিংয়ে যাদের ডাকা হয়েছে, কিন্তু আসেন নাই, এজন্য জবাবদিহি চাওয়া হবে। জবাব পাওয়া না গেলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সমন্বয়ে জোর দেন তিনি।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রামের সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ প্রশ্ন রেখে বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলাকারীদের কয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে? কয়জন চাঁদাবাজ ও দখলদারকে আটক করেছেন? আইনশৃঙ্খলা এত বেশি উন্নত হয়েছে, গতকাল জামালখান এসে ছাত্রলীগ মিছিল করেছে। এখন পর্যন্ত একজন চিহ্নিত খুনিকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তিনি বাজারের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে আজ থেকে কৃষিপণ্য নিয়ে এসে বাজারজাত করবেন বলে ঘোষণ দেন।
আরেক সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, দ্বিতীয় স্বাধীনতার দুই মাস অতিক্রম হয়েছে। এখনো গণহত্যাকারীরা অবাধে ঘুরে ফিরছে। তাদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা দেখছি না। আমাদের জীবন এখন শঙ্কায় আছে। আমরা ভয়ে বেরুতে পারি না। কেন এখনো গণহত্যাকারী, আমাদের ভাইদের আহত করেছে, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছে, তারা এখনো কীভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে? তারা এখনো দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে। যে রাজপথে হাজারো ভাই–বোনের রক্ত লেগে আছে সেই রাজপথে তারা কীভাবে স্লোগান দেওয়ার সাহস পায়? নিশ্চই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঘাটতি আছে।
পরে ছাত্রলীগের মিছিল করা নিয়ে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, আমি বিশ্বাস করি যাারা মিছিল করেছে তারাও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের গণহত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল। আশা করছি তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনবেন। তিনি ট্রাফিক বিভাগকে সম্পূর্ণ সচল করতে সিএমপিকে নির্দেশনা দেন।