আমাদের দেশের সিংহ ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বেসরকারি তথা এমপিওভুক্ত। এই এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একাডেমিক দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালনের জন্য সহকারী প্রধান শিক্ষকের একটি পদ রয়েছে। একাডেমিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তাঁকে বেশ কিছু বিষয়ের ক্লাসও নিতে হয়। বর্তমানে এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষকগণ জাতীয় বেতন স্কেলের ৮ম গ্রেডে বেতন পেয়ে থাকেন, আবার এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষকেরাও সম্প্রতি ২য় উচ্চতর স্কেল পেয়ে ৮ম গ্রেডে আপগ্রেড হয়ে বেতন–ভাতা পাচ্ছেন, যা একই প্রতিষ্ঠানের সহকারী প্রধান শিক্ষকের জন্য বৈষম্য তৈরি করছে। মূলত সহকারী প্রধান শিক্ষকদের উচ্চতর স্কেল না দেওয়ায়, উচ্চতর স্কেলপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের বেতন স্কেল ও সহকারী প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল বর্তমানে সমান। এতে করে সহকারী প্রধান শিক্ষকদের মধ্যে দীর্ঘদিনের অসন্তোষ রয়েছে। উল্লেখ্য, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষকগণ জাতীয় বেতন স্কেলের ৭ম গ্রেডে বেতন পেয়ে থাকেন এবং সম্মানিত প্রধান শিক্ষকগণ ৬ষ্ঠ গ্রেডে বেতন পেয়ে থাকেন। একই দেশে দুই নিয়ম থাকা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
সুতরাং, মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টার নিকট সবিনয়ে আবেদন, এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষকদের অনুরূপ ৭ম গ্রেড বাস্তবায়নের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। তাহলেই তাঁদের সঠিক মূল্যায়ন করা হবে।
মোঃ মোশতাক মেহেদী
সহকারী প্রধান শিক্ষক
বুজরুক বাঁখই মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কুমারখালী, কুষ্টিয়া।












