সহকারী পুলিশ সুপারের ভ্রাম্যমাণ ট্রাফিক স্কুল

কাপ্তাই সড়কে শৃঙ্খলা আনাই লক্ষ্য

রাউজান প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ৫ নভেম্বর, ২০২০ at ৫:০৫ অপরাহ্ণ

রাস্তায় গাড়ি নিয়ে নামা ট্রাফিক সিগন্যাল সম্পর্কে অজ্ঞ, গাড়ি চালনায় অপরিপক্ক চালকদের জন্য দেড় ঘণ্টার এক ব্যতিক্রমী প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন রাঙ্গুনিয়া-রাউজান সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন শামীম।
তিনি গত দুই মাস থেকে একাজ করে প্রায় সাত শতাধিক চালককে বিভিন্ন পয়েন্টে জড়ো করে হাতে-কলমে বুঝিয়েছেন ট্রাফিক সিগন্যাল, শিখিয়েছেন পার্কিং করা ও গাড়ি চালানোর নিয়মকানুন।
এই পুলিশ সুপার নিজ দায়িত্বের বাইরে স্বপ্রণোদিত হয়ে একাজ করছেন।
স্থানীয় জনসাধারণ ও গাড়িচালকরা বলেছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা কাপ্তাই সড়কের যানজটপূর্ণ এলাকা যানজটমুক্ত করতে নিজেই সড়ক পাশে রশি টাঙিয়ে সুশৃংঙ্খল পার্কিং ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন। সড়কের শৃংঙ্খলা মেনে চলতে গাড়িচালকদের সমিতির নেতৃবৃন্দকে ডেকে সড়ক আইন মেনে চলার জন্য চালকদের কঠোর নির্দেশনা দিতে নির্দেশ প্রদান করেছেন।
সড়ক পথে চলাচলকারী যাত্রী সাধারণের সাথে কথা বলে জানা যায়, পুলিশ সুপারের এই উদ্যোগে সড়ক পথে শৃংঙ্খলা ফিরে এসেছে। গত দুই মাসে এখানে কোনো দুঘর্টনার ঘটনা ঘটেনি। যত্রতত্র পার্কিং, রাস্তার উপর গাড়ি দাঁড় করিয়ে যাত্রী উঠানামা ও বেপরোয়া গাড়ি চালানো কমে গেছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) পাহাড়তলী চৌমুহনীতে ২০ থেকে ২৫ জন চালককে এক জায়গায় দাঁড় করিয়ে প্রশিক্ষণ দিতে দেখা গেছে সহকারী পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন শামীমকে।
এখানে প্রশিক্ষণ নিতে আসা কয়েকজন চালক বলেছেন, তারা গাড়ি রেখে স্বপ্রণোদিত হয়ে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।
ব্যতিক্রমী এই প্রশিক্ষণের প্রশিক্ষক সহকারী পুলিশ সুপার আজাদীকে জানান, সড়কে সুশৃঙ্খল পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে তিনি নিজ থেকে এই উদ্যোগ নিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, যেখানে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি লক্ষ্য করছেন সেখানেই চালকদের এক জায়গায় ডেকে জড়ো করে তাদের শৃংঙ্খলা মানার নিয়ম শিখিয়ে দিচ্ছেন। যারা একেবারে অসচেতন বা আইন মানতে চাইছে না তাদের সড়ক আইনে মামলা দেয়া হচ্ছে। এই প্রশিক্ষণ পাচ্ছে ছোট-বড় সব গাড়ির চালকরা।
তিনি জানান, এই উদ্যোগ অব্যাহত রাখা হবে কাপ্তাই সড়কের শুরু থেকে চন্দ্রঘোনা পর্যন্ত।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহোয়াইট হাউজের পথে বাইডেন
পরবর্তী নিবন্ধবান্দরবানে সাড়ে তিন কোটি টাকার ইয়াবা সহ ৬ মাদক ব্যবসায়ী আটক