উখিয়ায় মোহাম্মদ ফোরকান প্রকাশ কালু (১৪) নামে এক কিশোরকে গলা কেটে খুন করেছে তার সহকর্মী এক রোহিঙ্গা কিশোর। গতকাল শনিবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। ঘটনার পর থেকে আয়াজ (১৫) নামের ওই রোহিঙ্গা কিশোর পলাতক রয়েছে। উখিয়া থানা পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার মর্গে পাটিয়েছে।
গতকাল রোববার দুপুর ১২টার দিকে উখিয়ার কোটবাজারের একটি ডেকোরেশনের দোকান থেকে কিশোরের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে উখিয়া থানা পুলিশ। নিহত কালু উখিয়ার রত্নপালং ইউনিয়নের তেলিপাড়া গ্রামের বশির আহমেদের ছেলে। সে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় শাহ আলমের ডেকোরেটার্সে কাজ করছিল।
দোকান মালিক শাহ আলম বলেন, আয়াজকে আমি চিনি না। কাজ করার জন্য তাকে এনেছিল কালু। শনিবার রাত ১২টার দিকে প্রতিদিনের মতো তাদের দোকানে রেখে আমি ঘরে চলে যাই। সকালে এসে কালুর মরদেহ দেখতে পাই। আয়াজ পলাতক বলে জানান তিনি।
জানা গেছে, নিহত কিশোর কালু ও আয়াজ ওই দোকানে কাজ করত। পলাতক আয়াজ আশ্রিত রোহিঙ্গা। তবে সে কোন ক্যাম্পের তা জানা যায়নি।
নিহত কালুর বাবা বশির আহমেদ বলেন, কারা, কেন আমার ছেলেকে হত্যা করেছে আমি জানি না। আমি ছেলে হত্যার বিচার চাই।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) গাজী সালাউদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কঙবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এছাড়া সিআইডি ও পিবিআইয়ের পৃথক দল এ নিয়ে কাজ শুরু করেছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দোকান মালিককে থানায় আনা হয়েছে।