সহকর্মীকে মারধর করে পোশাক কর্মীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৩

পরে ছবি তুলে নাটক সাজানোর চেষ্টা

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ২৯ মে, ২০২১ at ৩:৫৩ পূর্বাহ্ণ

জোরপূর্বক ধর্ষণের পর উল্টো অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ! কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। একে একে ধরা পড়েছে অপকর্মের তিন হোতা। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন সাইফুর রহমান সুমন (২৮), মেহেদী হাসান জনি (৩২) ও মো. আলম (২৫)। এদের মধ্যে প্রথম দু’জন সরাসরি ধর্ষণ করলেও পরের জন এদের সহযোগিতায় ছিল। তাদের মধ্যে সুমন ও আলম পোশাক কারখানার শ্রমিক আর জনি গাড়ি চালক।
বায়েজিদ থানার ওসি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ছবি তুলে নিজেদের ধর্ষণকাণ্ড ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপরাধে বায়েজিদের শেরশাহ থেকে তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৭ মে) গভীর রাতে একই এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ওসি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান আজাদীকে বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে পূর্ব পরিচিত মুন্না নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করতে শেরশাহ কলোনির সরকারি কোয়ার্টার এলাকায় যান এক নারী পোশাককর্মী। এ সময় সাইফুর ও মেহেদী ওই পোশাককর্মী এবং তার সহকর্মী মুন্নাকে আটক করে। এক পর্যায়ে মুন্নাকে মারধর করে তাড়িয়ে দেয় তারা। মার খেয়েও মুন্না পালিয়ে না গিয়ে কিছু দূর গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। পরে সাইফুর ও মেহেদী ওই পোশাককর্মীকে জোর করে পাশের একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় আলম বাইরে পাহারা দিচ্ছিল। ধর্ষণ শেষে তারা মুন্নাকে ধরে এনে ওই নারীর পাশে দাঁড় করিয়ে ছবি তোলে। লোকজন ডেকে এনে ছবিগুলো দেখিয়ে ওই পোশাককর্মী অসামাজিক কাজ করতে এসেছে বলে অপবাদ দিতে থাকে। কিছুক্ষণ আটকে রেখে নাটক সাজানোর পর হুমকি ধমকি দিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেয় সুমন, জনি ও আলম। এরপর মুন্না ও ধর্ষণের শিকার ওই পোশাককর্মী রাত দেড়টার দিকে থানায় এসে অভিযোগ করেন। অভিযোগের সত্যতা পেয়ে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ভিকটিমকে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি বায়েজিদ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচাঁদা না পেয়ে ব্যবসায়ীর ঘরে ভাঙচুর, লুটপাট
পরবর্তী নিবন্ধতপ্ত রোদ, বৃষ্টি নেই, তবুও সড়কে পানি