করোনাভাইরাসের বিধিনিষেধের মধ্যে নিজ দপ্তরে এক নারী সহকর্মীকে চুমু খেয়ে ও জড়িয়ে ধরার পর চাপের মুখে পদত্যাগ করতে হয়েছে ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকককে।
সামাজিক দূরত্ব বিধি লঙ্ঘন করার দায়ে ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদ থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি উঠেছিল। বিডিনিউজ
শনিবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের কাছে দেওয়া হ্যানককের পদত্যাগ পত্র ডাউনিং স্ট্রিট প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
করোনা মহামারীর বিরুদ্ধে ব্রিটিশ সরকারের লড়াইয়ে কেন্দ্রীয় স্থানে ছিলেন হ্যানকক।
করোনাভাইরাসজনিত কঠোর বিধিনিষেধ মেনে চলার জন্য জনগণকে নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে আসছেন তিনি।
গত বছর দেশটির একজন জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী একই ধরনের আচরণ করে এ বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করার পর তার পদত্যাগকে স্বাগতও জানিয়েছিলেন তিনি।
গত মাসে তিনি তার দপ্তরে একজন জ্যেষ্ঠ সহযোগীকে চুমু খাচ্ছেন ও আলিঙ্গন করছেন, সান সংবাদপত্র এমন একটি ভিডিও ফাঁস করে দেওয়ার পর শুক্রবার ক্ষমা চেয়েছিলেন হ্যানকক। তিনি যখন এ কাজ করেছেন তখন ব্রিটেনজুড়ে বাড়ির বাইরে কোনো লোকের ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল।
জনগণকে বিধিনিষেধ মানতে বলে নিজেই তা লঙ্ঘন করায় হ্যানককের বিরুদ্ধে ‘নির্লজ্জ ভণ্ডমির’ অভিযোগ উঠে।
ওই নারীকে নিজ দপ্তরে চুমু খেয়ে হ্যানকক মন্ত্রিসভার আচরণবিধি ভেঙেছেন কি না, ব্রিটিশ বিরোধীদল লেবার পার্টি এ প্রশ্নও তোলে।
জিনা কোলাডেংগেলো নামের ওই নারী হ্যানককের দীর্ঘদিনের বান্ধবী। তার বিভাগের কাজকর্ম তদারকির দায়িত্বে অ-নির্বাহী পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন জিনা।
হ্যানকক বলেছিলেন, “ওই পরিস্থিতিতে আমি সামাজিক দূরত্ব বিধি লঙ্ঘন করেছিলাম, এটি মেনে নিচ্ছি। আমি জনগণকে হতাশ করেছি। আমি খুব দুঃখিত।”
তিনি মনে করছেন এ বিষয়টি শেষ হয়ে গেছে, শুক্রবার এমন মন্তব্য করেছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জনসন।
কিন্তু ব্রিটেনের সবগুলো প্রধান সংবাদপত্র তাদের প্রথম পাতায় এ খবর ছেপে হ্যানকক নৈতিক কর্তৃত্ব হারিয়েছেন এবং তার অবশ্যই পদত্যাগ করা উচিত বলে প্রতিবেদন করে। হ্যানককের নিজ দলের একজন এমপি ডানকান বেকারাও তার পদত্যাগ দাবি করেন।
তাদের প্রধান কলামে সান সংবাদপত্র লিখেছে, “হ্যানকক এখন আর সোজাসুজি তাকিয়ে কী আচরণ করতে হবে আমাদের তা বলতে ও তার কথা গুরুত্বের সঙ্গে শোনার আশা করতে পারেন না। কারণ খুবই স্পষ্ট ও হাস্যকর কপটতার ঘটনা ঘটে গেছে।”