জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা সপ্তম দফায় আরও ১১০ দিন বাড়িয়েছে সরকার। গতকাল মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদূর্ধ্ব সমপদমর্যাদার কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা (কোস্টগার্ড ও বিজিবিতে প্রেষণে নিয়োজিত সমপদমর্যাদার কর্মকর্তাসহ) ১২ নভেম্বর থেকে আরও সাড়ে তিন মাস ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা পাবেন। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাদের বিশেষ ক্ষমতা বলবৎ থাকবে। খবর বিডিনিউজের।
ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২ ধারার অধীন অপরাধগুলো আমলে নিতে পারবেন বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা। তার আগে সেপ্টেম্বরে ষষ্ঠবারের মতো আরও ৬০ দিন সামরিক কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বাড়িয়েছিল সরকার, যা শেষ হচ্ছে ১১ নভেম্বর।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে রোজার আগে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে প্রস্তুতির শেষ পর্যায়ে আছে নির্বাচন কমিশন। ডিসেম্বরে তফসিল ঘোষণা হতে পারে। ইতোমধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার ও নির্বাচন কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের প্রচার অভিযান শুরু করেছে।
ছাত্র–জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে থেকে সারাদেশে মোতায়েন ছিল সেনাবাহিনী। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর কারফিউ তোলা হলেও বিপর্যস্ত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে সেনা সদস্যদের মাঠ পর্যায়ে রেখে দেওয়া হয়। পরে যৌথবাহিনী অভিযানেও নামে। উদ্ভূত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হয় সশস্ত্র বাহিনীকে। পরে নৌ ও বিমান বাহিনীসহ কমিশনড কর্মকর্তাদেরও একই ক্ষমতা দিয়ে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
গত বছরের নভেম্বরে এ ক্ষমতার মেয়াদ প্রথম দফায়, চলতি বছরের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় দফায়, মার্চে তৃতীয় দফায়, মে মাসে চতুর্থ দফায় ও জুলাই মাসে পঞ্চম দফায় ৬০ দিন করে বাড়ানো হয়।











