সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ২০ হাজার ১৬ জনের। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ২৩০ জন। এর আগে কখনো এক দিনে এত বেশি মানুষের শরীরে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়নি। এর আগের রেকর্ডটি ছিল গত ২৬ জুলাইয়ের। ওই দিন একদিনে ১৫ হাজার ১৯২ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল। সবমিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ লাখ ১০ হাজার ৯৮২ জনে। গতকাল বুধবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাছিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১৩ হাজার ৪৭০ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১০ লাখ ৩৫ হাজার ৮৮৪ জন।
সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬৩৯ টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৩০ টি, জিন এক্সপার্ট ৫২টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ৪৫৭ টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৫৬ হাজার ১৫৭ টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৫৩ হাজার ৮৭৭টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৭৬ লাখ ১২ হাজার ৫৮৮টি। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ৩০ দশমিক ১২ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৯১ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৫ দশমিক ৫৪ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২৩৭ জনের মধ্যে পুরুষ ১৪৯ জন ও ৮৮ জন নারী। তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৭০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৬২ জন, রাজশাহী বিভাগে ২১ জন, খুলনা বিভাগে ৩৪ জন, বরিশাল বিভাগে নয়জন, সিলেট বিভাগে ১৮ জন, রংপুর বিভাগে ১৬ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে সাতজন রয়েছেন। এর মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ১৬৭ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৫৭ জন এবং বাড়িতে ১৩ জন মারা যান। মৃত ব্যক্তিদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে এক জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ১৫ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৪৫ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৭৮ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৪৪ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৩৪ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে নয়জন রয়েছেন।