কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, তরমুজপ্রতি (৫–৭ কেজি) উৎপাদন খরচ ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। কৃষকরা বিক্রি করছেন ৮৫ থেকে ১০০ টাকায়। এর সাথে পরিবহন ও অন্যান্য খরচ যুক্ত হয়ে পাইকারিতে সর্বোচ্চ দাম হতে পারে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা। কিন্তু বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ৩৩০ টাকা পর্যন্ত।
গতকাল নগরীর ফিরিঙ্গিবাজারের তরমুজের পাইকারী আড়তগুলোতে জেলা প্রশাসন অভিযানে এ চিত্রের দেখা মিলেছে। অভিযানে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত। তিনি তরমুজের ক্রয় বিক্রয় রশিদ, মূল্যতালিকা ও রেজিস্টার খতিয়ে দেখেন। এ সময় উপস্থিত কৃষক এবং আড়ত মালিকের দেয়া তথ্য অনুযায়ী হিসাব করে দেখা যায়, প্রতিটি তরমুজের উৎপাদন খরচ ১০০ টাকা হলেও সেগুলো আড়তে ২০০ থেকে ৩৩০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। কৃষি বিপণন আইন ২০১৮ অনুযায়ী যেকোনো ফলে উৎপাদন পর্যায়ে সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ এবং পাইকারি পর্যায়ে ২০ শতাংশ লাভের বিধান রয়েছে।
গতকালের অভিযানে অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির জন্য আড়তদারদের চূড়ান্তভাবে সতর্ক করা হয় এবং ক্রয় বিক্রয় রশিদ যথাযথভাবে সংরক্ষণ না করায় ইসলাম ট্রেডার্সকে ৫ হাজার এবং মদিনা ফার্মকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, বাজারে আমাদের কঠোর নজরদারি অব্যাহত আছে। চিনি, চাল, এলাচ, সেমাই, খেজুর, তরমুজসহ বিভিন্ন পণ্যের পাইকারি বাজারে ইতোমধ্যে অভিযান চালানো হয়েছে। ভেজালবিরোধী অভিযান চলমান রয়েছে। আমাদের ম্যাজিস্ট্রেটরা নিয়মিত বাজার তদারকি করছেন। কোনভাবেই বাজারকে অস্থিতিশীল করা যাবে না।
জেলা প্রশাসনসূত্র জানায়, অভিযানে সহকারী কৃষি বিপণন কর্মকর্তা আবু বকর ও কোতোয়ালী থানা পুলিশের একটি দল সহায়তা করে।












