দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া–৪ (নন্দীগ্রাম ও কাহালু) আসনে সর্বনিম্ন ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন একতারা প্রতীক প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। গতকাল রাতে পাওয়া বেসরকারি ফল অনুয়ায়ী, তিনি পেয়েছেন দুই হাজার ১৭৫ ভোট।
হিরো আলম এবার বাংলাদেশ কংগ্রেস নামে একটি দল থেকে নির্বাচনে অংশ নেন। এর আগের নির্বাচনগুলোতে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোট করেছিলেন। যদিও গতকাল ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার দুই ঘণ্টা পর বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন তিনি। এ আসনে নৌকার প্রার্থীসহ ছয়জন ভোটের মাঠে লড়েছেন। খবর বাংলানিউজের।
এদিকে হিরো আলমের জনপ্রিয়তা কমার পেছনে অবশ্য দলীয় প্রার্থী হওয়াকেই দায়ী করেছেন তার সমর্থকরা। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেই বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল হিরো আলম। দলের হয়ে নির্বাচন করার কারণে তার ভরাডুবি হয়েছে মন্তব্য অনেকের।
হিরো আলম বলেন, এবারের নির্বাচনেও অনেক অনিয়ম হয়েছে। তাই ফলাফল ঘোষণার আগেই আমি নির্বাচন বর্জন করেছি।
নির্বাচন কমিশনের বিধিমালা অনুযায়ী কোনো প্রার্থীকে জামানত রক্ষা করতে হলে মোট বৈধ ভোটের (কাস্টিং ভোট) আট ভাগের এক ভাগ থেকে অন্তত একটি ভোট বেশি হবে। কিন্তু এই নির্বাচনে হিরো আলম বগুড়া–৪ আসনে দুই হাজার ১৭৫ ভোট পেয়েছেন। এ আসনে মোট ভোটার তিন লাখ ৪৪ হাজার ৫১৪ জন। মোট প্রদত্ত ভোট ৯৬ হাজার ৬০৮টি। সে ক্ষেত্রে জামানত রক্ষার জন্য একজন প্রার্থীকে পেতে হবে ১২ হাজার ৭৬ ভোট।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম জানান, বগুড়া–৪ আসনে জাসদের প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন নৌকা প্রতীকে ৪২ হাজার ৭৫৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছে। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক মোল্লা ৪০ হাজার ৬১৮ ভোট পেয়েছেন।