শরৎ কাশের খেলা, হৃদয়ে ঢাক কাঠি ধ্বনির উল্লাসে দূর্গা মায়ের আগমনের সুর কানে বাজছে। “দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন” এ বিশ্বব্যাপী মহামারী করোনাই প্রতি বছরের ন্যায় মা আসছে। ব্যতিক্রম শুধু সামাজিক দূরত্ব। আক্ষেপ তবে বেশ, আনন্দ চলবে। পুজোর চার পাঁচ দিন পালা করে প্রতিমা ও মন্ডপে আলোর ঝিলিক দেখা, প্রসাদ বিতরণ সবই হয়। তবে ‘সর্বজনীন’ বেশ বেমানান সুবিধাবঞ্চিতদের, তাদের কাছে পূজোর আনন্দ মানে ডুমুরের ফুল। প্রায়ই প্যান্ডেলে দেখা যায় ভাসমানদের প্রবেশ ও ভোগ খেতে দেই না, যা সত্যি অমানবিক। সবক্ষেত্রে সচ্ছলদের দৌরাত্ম্যে দুস্থরা অসহায়। ঈশ্বর কি তবে সচ্ছলদের? বাস্তবে অসচ্ছলরা গড়ে ঈশ্বরের রূপ, তাদের হাতের ছোঁয়ায় মুখ হাসিতে ভরে ওঠে। জীব সেবায় ঈশ্বর সেবা। মহামারীর এই সময়ে সামর্থ্যদের উচিৎ, অহংকার ও হিংসা ত্যাগে পুজোতে নিজের জন্য ব্যয় কমিয়ে সেই অর্থ দিয়ে দুঃস্থদের মাঝে খাদ্য ও বস্ত্রের যোগান দেয়া হোক।
বিশ্বে দুর্ভিক্ষ হলে অনাহারে ভুগে শিশু। তাই প্রার্থনা হোক, দুঃস্থ সকল শিশু যেন হাসিখুশিতে থাকে, নতুন পোশাক পরনে জুটে, যেন থাকে ভরা পেটে। সকলের মত পুজোর ভোগ যেন অসচ্ছলদের সারাজীবনের সঙ্গী করে। ঈশ্বর যেন সকলের জীবনে হতাশা, দুঃখ, দুর্ভিক্ষ অসুরের মত দমন করে প্রকৃতিকে তার পূর্বের স্বরূপ ফিরিয়ে দেই। পৃথিবীতে পাপ বিনষ্ট হয়ে সকলের মন শান্তির জলের আভাসে ভরে উঠুক।