১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকান্ডের মাধ্যমে স্বাধীন দেশে সেনাপতি শাসন কায়েম হয়। সেনাপতি নামের প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা দেশের মালিক–মোক্তার বলে যায়। সেনাপতি শাসন রেধে দেশে আইন পাশ হলেও আমলা বা সরকারী কর্মকর্তা নামের প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের দৌরাত্ম্য থামানোর কোনো বিধান জারি হয়নি। ফলে, যা ইচ্ছা তাই করার সুযোগ পাচ্ছেন তারা। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের দুর্নীতি দেশবাসীর পকেট কাটছে। সংবিধান অনুযায়ী অফিস সহকারী বা পিয়ন থেকে সচিব পর্যন্ত সবাই প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। জনগণের টাকায় তারা বেতন পান। তাদের আনুগত্য থাকা উচিত দেশের ১৮ কোটি মানুষের প্রতি। তাই, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সোনার বাংলা বিনির্মাণ ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন আগামীর “স্মার্ট বাংলাদেশ” বিনির্মাণ কিংবা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে উন্নত জাতি গঠনে, দেশের জনগণকে লুটেরাদের কবল থেকে রক্ষায় রাজনীতিকদের ভ্যানগার্ডের ভূমিকা পালন করা এক্ষেত্রে বাঞ্ছনীয়। এমতাবস্থায়, দূর্নীতি–অপরাধ যেই করুক না কেন, তার বিরুদ্ধে জাতির ঐক্যবদ্ধ অবস্থানই আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করতে পারবে এই প্রত্যাশা।
এম.আবু ছৈয়দ চৌধুরী
বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের সওঃ বাড়ি,
নিমতলা, বন্দর, চট্টগ্রাম।