বাঁশখালীর একমাত্র সড়কটিতে অতিরিক্ত গাড়ির চাপে প্রতিনিয়ত সীমাহীন যানজটের কবলে পড়ছে সড়কে সাধারণ যাত্রীরা। কর্ণফুলী টানেল হওয়ার পর বাঁশখালী হয়ে পেকুয়া, চকরিয়া হয়ে কঙবাজার পর্যন্ত সড়কটি চার লেইন উন্নীত করার পরিকল্পনা কথা শোনা গিয়েছিল। তবে এখনো পর্যন্ত এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ না হওয়াতে হতাশ জনসাধারণ। অপরদিকে বাঁশখালী থেকে চট্টগ্রামে আসা–যাওয়ার পথে আনোয়ারা সরকার হাটের গরুর বাজারের প্রতিনিয়ত যানজটের ভোগান্তি বেদনাদায়ক হয়ে পড়েছে। সরকার হাটে সাপ্তাহিক প্রতি শুক্রবার ও সোমবার হয়ে থাকলেও প্রতিদিন গবাদি পশু বেচাকেনা হয়। এতে প্রতিদিন অপেক্ষামাণ শত শত গাড়ির চাপে যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। একদিকে সরু ও আঁকাবাঁকা সড়ক অন্যদিকে অতিরিক্ত গাড়ির চাপে এ সড়কে প্রতিদিন দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়ে থাকে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাঁশখালীর একমাত্র প্রধান সরু সড়কটি সংস্কার না করায় বর্তমানে সড়কের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত এবং দুপাশে ভেঙে পড়ছে। প্রধান সড়কের পৌরসভার মিয়ার সড়কের একটি কালভার্ট সংস্কারে দীর্ঘ সময় ক্ষেপনের ফলে এবং প্রধান সড়কের কালীপুরের গুনাগুরীর দীর্ঘ প্রতিদিনের যানজট আর ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। এছাড়া প্রধান সড়কের বেশ কিছু স্থানের দুপাশে ভেঙে পড়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
বাঁশখালীর একমাত্র সড়কটিতে বর্তমানে মেরামতের কাজ চলছে বলে জানান সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা। তিনি বলেন, বর্তমানে চলমান রিপেয়ারিং কাজ যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু চলবে। তবে রাস্তার দুই পাশে গর্ত ও মাটি ভরাটের ব্যাপারে তিনি বলেন, প্রয়োজন হলে কাজ করা হবে। তবে প্রধান সড়ক সমপ্রসারণ কিংবা চার লেইন করার ব্যাপারে তিনি কোন অভিমত ব্যক্ত করেনি।