সরব সড়ক, মানুষও বেশি

স্বাস্থ্যবিধি মানা ও মাস্ক পরায় এখনো অনেকের আগ্রহ কম

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ১৮ এপ্রিল, ২০২১ at ৫:১০ পূর্বাহ্ণ

বিকেল সোয়া চারটা। নগরীর দেওয়ানহাট মোড়। একের পর এক বাস, মিনিবাস, পিকআপ ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, সিএনজি অটোরিকশা কিংবা প্রাইভেট কার ছুটছে গন্তব্যের দিকে। বিশেষ করে ইপিজেড ও আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকা থেকে ঘরমুখো মানুষ চড়ছিল এসব যানবাহনে। অন্যদিনের চেয়ে সড়কে বেড়েছে রিকশার চাপও। সব মিলিয়ে স্বাভাবিক সময়ের মতোই দৃশ্য ছিল এটি।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে গত ১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর লকডাউন শুরু করেছে সরকার। শুধুমাত্র শিল্প কারখানা, বন্দর সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাদে প্রায় সব ধরনের সরকারি বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়। নগরীর ভাসমান লোকজনের একটি বড় অংশ লকডাউনের আগেই নগরী ছেড়েছে। এতে নগরীতে মানুষের চাপ কম থাকলেও লকডাউনের চতুর্থ দিনে ধীরে ধীরে সরব হতে যাচ্ছে সড়ক-মহাসড়ক।
গতকাল বিকেলে নগরীর বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, দুই নম্বর গেট, জিইসি মোড়, ওয়াসা, লালখান বাজার, টাইগারপাস মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালালেও নানান অজুহাতের কারণে লোকজনকে ছাড় দিলেও অহেতুক বের হওয়া মোটরসাইকেল, রাইড শেয়ারিং চলা বাইক, ব্যাটারিচালিত রিকশার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে দেখা গেছে। কঠোর লকডাউনের মধ্যে সাধারণ মানুষদের মাঝে স্বাস্থ্যবিধি মানার তেমন আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়নি। বিশেষ করে রিকশা চালক, গাড়ির চালক হেলপারদের মাস্ক পড়ার আগ্রহ কম। লকডাউনের চতুর্থ দিনে নগরীর মূল সড়কের আশেপাশের অনেক দোকানপাট খোলা দেখা গেছে। খাদ্যপণ্য বাদেও বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দোকানগুলো খোলা ছিল। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত লোকজনের প্রয়োজনীয় কেনাকাটাও করতে দেখা গেছে। লকডাউনের চতুর্থ দিনে ভাসমান হকারদের সংখ্যাও আগের তিন দিনের চেয়ে বেড়েছে। বিশেষ করে সড়কের ভাসমান সবজি ও মৌসুমী ফল বিক্রেতাদের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্য করার মতো। কাঁচাবাজারগুলোতে সকাল থেকে মানুষ প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করতে বেরিয়েছে। তবে বিকেল পাঁচটার পরে সিরাজদৌল্লা রোড, আন্দরকিল্লা এলাকায় খোলা দোকানপাট বন্ধে পুলিশকে অ্যাকশন নিতে দেখা গেছে।
বিকেলে নগরীর অনেক ইফতার দোকান থেকেও রোজাদাররা ইফতার সংগ্রহ করেছেন। শনিবার বিকেল চারটার দিকে দেওয়ান হাট মোড়ের আলিফ রেস্টুরেন্টে ইফতার সংগ্রহ করতে ভীড় করছেন লোকজন। দোকানের বাইরে ফুটপাতে ইফতারের পসরা সাজিয়েছে রেস্টুরেন্টটি। অন্যদিকে গরীব উল্লাহ শাহ মাজার মোড়ে দাবা রেস্টুরেন্ট থেকে ইফতার সংগ্রহ করছেন অপেক্ষাকৃত অভিজাত শ্রেণির লোকজন। প্রায় সকলেই প্রাইভেট কার দাঁড় করিয়ে ইফতার কিনছেন।
অন্যদিকে জিইসি মোড়ের ফ্লেভার্সের শোরুমেও ইফতার সংগ্রহের জন্য মানুষের জটলা লক্ষ্য করা গেছে। পাশাপাশি সাদিয়াস কিচেন, মুরাদপুরের হোটেল জামান, আয়োজন রেঁস্তোরা, বহদ্দারহাটের হাসান রেঁস্তোরা, আল হাসান, ওয়েল ফুড, ফুলকলি, মদিনা হোটেলে চলে ইফতার কেনাকাটা। চকবাজারের সবুজ হোটেল, কুটুমবাড়ি রেঁস্তোরাতেও ছিল ইফতার সংগ্রহকারীদের ভিড়। একইভাবে জামান হোটেল, সাদিয়াস কিচেন ও চককেন্ডিতেও ইফতার বিকিকিনি চলেছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে মৌসুমের প্রথম বৃষ্টি