সরবরাহ সংকটের অজুহাতে বাড়ছে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম। গত এক সপ্তাহে ব্যবধানে প্রতি কেজি সবজির দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত। সবজি ছাড়াও ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে ব্রয়লার মুরগি ও মাছের বাজারও। সবজি ব্যবসায়ীরা বলছেন, বৃষ্টির কারণে দেশের উত্তরাঞ্চলীয় জেলাগুলো থেকে সবজির সরবরাহ ব্যহত হয়েছে। সরবরাহ স্বাভাবিক হলে দাম কমে যাবে।
গতকাল নগরীর চকবাজার ও ২নং গেট কর্ণফুলী কমপ্লেক্সে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে প্রতি কেজি বরবটি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা, কাকরল বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা, শসা ১০০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, কচুর লতি ৭০ টাকা, চিচিঙ্গিা ৭০ টাকা, তিতা করলা ৮০ টাকা, শসা ৮০ টাকা, টমেটো ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, কাঁচা মরিচ ২২০–২৫০, গাজর ২০০–২১০, বেগুন ১০০ থেকে ১১০ টাকা, আলু ৬৫ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা। অন্যদিকে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা, রসুন ২২০ টাকা এবং আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ টাকায়।
২নং গেট কর্ণফুলী কমপ্লেঙের সবজি বিক্রেতা মোহাম্মদ হাসান বলেন, বাজারে সবজির দাম নির্ভর করে চাহিদা ও সরবরাহের ওপর।
আমরা খুচরা ব্যবসায়ীরা পাইকার বাজার থেকে সবজি এনে বিক্রি করি। সবজি পচনশীল পণ্য। চাইলেই মজুদ করে রাখা যায় না। আমি পাইকার বাজার থেকে যখন সবজি কিনে আনি, সেগুলো বাছাই করে বিক্রি করতে হয়। কারণ পাইকারি দোকান থেকে আনার পর অনেক সবজি নষ্ট পড়ে। এতে আমাদের কেজিপ্রতি কেনার খরচও বেড়ে যায়। এছাড়া পাইকারি বাজারে গত এক সপ্তাহ ধরে সবজির সরবরাহ কমেছে। তাই দামেও প্রভাব পড়েছে।
অন্যদিকে মাছের বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে প্রতি কেজি তেলাপিয়া বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৩০ টাকা, পাঙাশ ২০০–২৪০ টাকা, রুই আকারভেদে ২৮০ থেকে ৪০০ টাকা, কাতলা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, কোরাল ৭০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, বোয়াল ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা ও আইড় ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা, শিং ৫৫০ টাকা, মাগুর ৬৫০ টাকা এবং কৈ মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায়।
মাছ বিক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, বাজারে মিঠাপানির মাছের সরবরাহ স্বাভাবিক আছে। কোরবানির পর থেকে মাছের দাম বাড়েনি।
অপরদিকে গত এক সপ্তাহ ধরে বাড়ছে ব্রয়লার মুরগির দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায়। এছাড়া সোনালী মুরগি ২৮০ থেকে ৩২০ টাকা, দেশি মুরগি ৭০০ থেকে ৭৩০ টাকা ও লেয়ার মুরগি প্রতি কেজি ২৬০ থেকে ৩৫০ টাকায়। এছাড়া প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়। অ্যদিকে প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা, খাসির মাংস ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ২৫০ টাকায়।
ফরিদ উদ্দিন নামের এক ক্রেতা জানান, শুধু সবজির বাজার বলে কথা নয়, বাজারে এখন প্রত্যেকটি ভোগ্যপণ্যের দামই চড়া। যেভাবে খরচ বেড়েছে, সেভাবে কারো আয় বাড়েনি। এতে নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণীর লোকজনকে সবচেয়ে বেশি ভুগতে হচ্ছে। আমাদের দেশে কেবল রমজান মাস আসলে বাজারে কিছুটা মনিটরিং হয়। এরপর সারা বছর আর কোনো খবর থাকে না। সেই সুযোগটাই ব্যবসায়ীরা সব সময় নেয়।