রাঙ্গুনিয়ায় অতর্কিত গুলিতে যুবক খুনের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালের দিকে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানায় মামলাটি করেন নিহত মোজাহেদের ভাবী শাকি আকতার। মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী মো. কামালকে প্রধান আসামি করে ৯ জনকে এজাহার নামীয় এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। পরে দুপুরের দিকে অভিযান চালিয়ে মামলায় এজাহারভুক্ত পাঁচ নম্বর আসামি মো. নজরুলকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বিকেলের দিকে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুব মিলকী বলেন, মামলার প্রধান আসামিসহ অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে উপজেলার সরফভাটা ইউনিয়নের এজাহার মিয়া ফকির বাড়ি এলাকার একটি দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এ সময় স্থানীয় হারুনের ছেলে দিদারকে খুঁজতে ৩০-৪০ জনের একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল তার বাড়িতে যান। তাকে না পেয়ে তার মায়ের সামনে তার ছোট ভাই মোজাহেদকে লক্ষ্য করে অতর্কিত গুলি করলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। সেখান থেকে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা স্থানীয় হাসানের চায়ের দোকানে ঢুকে সেখানেও দিদারকে খুঁজতে থাকে এবং দোকানে আড্ডারতদের এলোপাতাড়ি কোপায়।
এতে তাদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হন দোকানে বসে থাকা আরও পাঁচজন। সন্ত্রাসীরা চলে যাওয়ার পর আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত ১০টার দিকে সেখানে মোজাহেদ মারা যান। অন্যরা চিকিৎসাধীন রয়েছে। এই ঘটনায় সরফভাটা জুড়ে আতংক বিরাজ করছে। পুলিশ ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মামলার প্রধান আসামি মো. কামালের সন্ত্রাসী গ্রুপের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত ছিল স্থানীয় মো. দিদার।
সম্প্রতি ওই দল থেকে তিনি বেরিয়ে আসায় আক্রোশে তাকে মারতে আসে সন্ত্রাসীরা। সন্ত্রাসী কামালের বিরুদ্ধে খুন, ডাকাতি ও অস্ত্র আইনে ডজনখানেক মামলা রয়েছে। এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে তার বিশাল একটি দল রয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। জানতে চাইলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, এলাকায় পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের পরও সন্ত্রাসীদের অপতৎপরতা বন্ধ করা যাচ্ছে না। পুলিশকে আন্তরিকতার সঙ্গে সন্ত্রাসীদের দমন করতে হবে।