সরকার হাট এলাকায় ৮ ঘণ্টা ধরে তিন কিলোমিটারের বেশি যানজট

সড়কের পাশে পশুর হাট, অব্যবস্থাপনায় ভোগান্তি

এম নূরুল ইসলাম, আনোয়ারা | শনিবার , ১৫ জুন, ২০২৪ at ৬:০৪ পূর্বাহ্ণ

আনোয়ারায় কোরবানির পশুর বাজারকে কেন্দ্র করে পিএবি সড়কের সরকার হাট এলাকায় দীর্ঘ তিন কিলোমিটারের বেশি যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে দক্ষিণ চট্টগ্রামের ৫০ হাজারের বেশি ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষ, যাত্রী সাধারণ ও স্থানীয়রা ৭/৮ ঘণ্টার বেশি ভোগান্তির শিকার হন। সড়কের ওপর গরু উঠা নামা ও ‘অব্যবস্থাপনা’ দীর্ঘ যানজটের প্রধান কারণ বলে জানায় স্থানীয়রা।

একইভাবে যানজট তৈরি হয়েছে মজ্যারটেক, কলেজ বাজার, ফকিরনীর হাট, ফাজিল খার হাট, মালঘর বাজার ও বরকর ব্রিজসহ আনোয়ারার বিভিন্ন ইউনিয়নের সড়কের পাশে গড়ে ওঠা বাজারগুলোর কারণে। এতে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠে।

পটিয়াআনোয়ারাবাঁশখালী (পিএবি) সড়কের সরকারহাট দক্ষিণ চট্টগ্রামের সর্ববৃহৎ পশুর হাট। দেশি গরু, মহিষ ও ছাগলের হাট হিসেবে সরকারহাট সারাদেশে প্রসিদ্ধ। এ হাটে সারা দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে কোরবানির পশু আনেন পাইকারী ব্যবসায়ীরা। কোরবানির দুই দিন পূর্বে গতকাল শুক্রবার ছিল কোরবানির শেষ বাজার। ফলে এই বাজারে ক্রেতাবিক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় ছিল। বাজারে আনা কোরবানির পশুগুলো সড়কের উপর গাড়িতে উঠানামা করা হয়। যার ফলে যানজটের কবলে পড়ে ঈদে বাড়ি ফেরা হাজার হাজার মানুষ। গতকাল সরেজমিনে দেখা যায়, সরকারহাটে গবাদিপশুর বেচাকেনা ছিল জমজমাট। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় ক্রেতার উপস্থিতিও ছিল বেশি। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পশুর উপস্থিতি ও ক্রেতার ভিড়ে দুপুরের মধ্যেই হাটের বিস্তৃতি ঘটে মূল সড়ক পর্যন্ত। মূল সড়কে গরু মহিষ উঠানামা, নগরী থেকে যাওয়া যাত্রীদের ব্যক্তিগত গাড়ির চাপে পিএবি সড়কে যান চলাচল একরকম বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় পিএবি সড়কের বরুমচড়া রাস্তার মাথা থেকে তৈলারদ্বীপ সেতুর বাঁশখালী প্রান্ত পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত ৭/৮ ঘণ্টার বেশি যানজটের সৃষ্টি হয়।

যানজটে আটকা পড়া চট্টগ্রাম শহর থেকে গরু কিনতে আসা ব্যাংক কর্মকর্তা ওবায়েদ জানায়, দুপুরে এসে কয়েক ঘণ্টা যানজটের কবলে পড়ে চরম ভোগান্তির শিকার হই। আর গরু কিনে ফেরার পথে আরো ৩/৪ ঘণ্টা যানজটে কষ্টের শেষ নেই।

যাত্রীদের অভিযোগ, ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে পড়ে থাকলেও গাড়ির লাইন সচল করতে আইনশৃক্সখলা বাহিনী চোখে পড়েনি। যানজটে এম্বুলেন্সও ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে সাইরেন বাজিয়ে যাচ্ছে। এসব অব্যবস্থাপনা দেখার যেন কেউ নেই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সরকার হাটের এক ইজারাদার বলেন, যানজট নিরসনে সরকারহাট ইজারাদারের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভলান্টিয়ার নিয়োজিত রয়েছে। তবুও যানজট নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।

যানজটের বিষয়ে আনোয়ারা ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ (টিআই) মো. হাফিজুর রহমান জানান, সরকারহাট গরুর বাজারকে কেন্দ্র করে যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশ ও থানা পুলিশ সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধওর নাম লালু মাস্তান
পরবর্তী নিবন্ধমই দিয়ে উঠতে হয় সেতুতে